মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভেসে উঠল এক হেভিওয়েটের নাম কলকাতা রাজ্য November 16, 2018 ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রার্থী নির্বাচনের তোড়জোড় পড়ে গেছে। সারা ভারতবর্ষে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে তৎপরতা দেখা দিয়েছে বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকেই রণকৌশল ঠিক করে ফেলেছে অন্যদিকে তেমন বিরোধী গোষ্ঠী বাম বিজেপি-কংগ্রেস রাও কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। এর মধ্যে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন? যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে উত্তর কলকাতা বা আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে এখনও সবই জল্পনার পর্যায়ে। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দাবিদার কয়েকশো। বিজেপির বিভিন্ন মাপের নেতা নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী লবি ধরার চেষ্টা শুরু করেছেন যদি ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ে। অন্যদিকে,এরই মধ্যে রানি রাসমনির বর্তমান বংশধর তথা রাসমনির নাতির ছেলের বৌ শ্যামলী দাস বিজেপির সদস্যপদ নিয়েছেন। রাণীমার নাতবৌ এর আগেও বেশ কয়েকবার ভোট যুদ্ধে নেমেছিলেন। বর্তমান রানিমাকে নিয়ে বিজেপির একটা বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।আর তাই এখন রোজই বালিগঞ্জের রাসমনি ভবনে ভীড় জমাচ্ছেন দলের নেতা কর্মীরা। জানাচ্ছেন নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা। আবার এরই মধ্যে দলের একাংশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দিচ্ছেন অনেকেই। এবারের ভোটে রাণীমা প্রার্থী হন এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশ। এই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তদবিরও করছেন তাঁরা। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অনেক নেতাই চাইছেন রানিমা শ্যামলী দাস জেলার মথুরাপুর লোকসভা আসন থেকে নির্বিচনে প্রতিন্দন্দ্বীতা করুন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রটি তফশিলী জাতির জন্য সংরক্ষিত। এলাকার ভোটারদের বড় অংশই মত্স্যজীবী সম্প্রদায়ের।রানী রাসমনির মত তার বর্তমান বংশধর শ্যামলীদেবী ও মৎস্যজীবীদের জন্য অনেক কাজ করেছেন এবং করছেন । এমনকি তাঁদের মধ্যে বসবাসের দলিলও বিতরন করেন তিনি। এই মত্স্যজীবী ভোটাররা শ্যামলী দাসের পাশে থাকবেন বলেই আশা করছেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা বিজেপির পশ্চিম ভাগের সহ সভাপতি অরুন জানা সংবাদমাধ্যমকে জানান,” আমরা চাইছি মথুরাপুর আসন থেকে শ্যামলী দাস প্রার্থী হন। আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই প্রস্তাব রাখবো। আশা করছি রানীমা প্রার্থী হলে তৃণমূলের সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়া খুব সহজেই পরাজিত করা যাবে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে, প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্যামলী দাস বলেন,”মানুষ চাইলে প্রার্থী হতে আমার কোন আপত্তি নেই।মানুষের পাশে থাকার জন্য এবং সাধারণ মানুষের কাজ করার জন্যই আমি বিজেপির সদস্য পদ নিয়েছি।” এখন দেখার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা কোন সিদ্ধান্ত নেন এই আসনে প্রার্থী বিষয়ে। আপনার মতামত জানান -