এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > “মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, এ তো কোনও সভ্য দেশে হয় না।” – যুব বাম কর্মীর মৃত্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু

“মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, এ তো কোনও সভ্য দেশে হয় না।” – যুব বাম কর্মীর মৃত্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নবান্ন অভিযান কালে পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছিলেন যুব বাম কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। গতকাল সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন ফেলে দেয়। যুব বাম কর্মীর অকাল মৃত্যুর তীব্র প্রতিবাদ জানায় একাধিক রাজনৈতিক দল। গতকাল সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখান থেকে তিনি যুব বাম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সামনে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, যুব বাম কর্মীর এই মৃত্যু রাজ্য সরকারের নৃশংসতা ও বর্বরতার প্রমাণ দেয়। এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মদত পুষ্ট পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক সরকার। যার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা। আবার গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মইদুল ইসলামের পরিবারের কেউ যদি চাকরি করতে চান? তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানালেন, এটা যদি ঘটনাচক্রে ঘটে যেত, তাহলে আলাদা ব্যাপার ছিল। কিন্তু এখানে সংগঠিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের একজনকে চাকরি দেবার কথা বলেই দায় এড়ানো যায়না। শুভেন্দু অধিকারী জানান, সেদিন গণতান্ত্রিকভাবে চাকরি চাইতে এসেছিলেন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। জলকামান চালিয়ে, গ্যাস ফাটিয়ে পুলিশ অনেকভাবে তাদের সরিয়ে দিতে পারতো। কিন্তু মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, যা কোনো সভ্য দেশে দেখা যায় না।

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে গুলি চালানো দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করে নবান্নের দরজায় যুবককে পিটিয়ে মারা, এই জিনিস কখনই চলতে পারে না। তিনি জানালেন যে, সরকার যদি ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করত, তাহলে তিনি বুঝতে পারতেন যে, সরকার পেটাতে বলেনি। তিনি জানালেন, কলকাতার নবনিযুক্ত কমিশনার সরকারের গুডবুকে থাকবার জন্যই এটা করেছিলেন।

তাঁর বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে কথা ছিল। সরকারি চাকরি দেওয়া কখনোই এর সমাধান হতে পারে না। গতকাল সন্ধ্যায় মইদুল ইসলাম মিদ্যার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। যে রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, তাঁর হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও তাঁর অন্য কোন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন নেই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!