এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মাত্র ৪ ঘন্টার নোটিশে কেন লকডাউন? বিরোধীদের চাপের মুখে অবশেষে মুখ খুলল মোদী সরকার, জেনে নিন

মাত্র ৪ ঘন্টার নোটিশে কেন লকডাউন? বিরোধীদের চাপের মুখে অবশেষে মুখ খুলল মোদী সরকার, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার প্রাথমিক পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 23 শে মার্চ মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে শুরু করেছিলেন দেশজুড়ে লকডাউন। যার ফলে সাধারণ মানুষ পড়েন অত্যন্ত অসুবিধায়। কারণ লকডাউনের কারণে কয়েক ঘন্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন-বাস সহ যাবতীয় যানবাহন। অফিস, কাছারি, স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গার পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে পড়ে। অভাবের তাড়নায় পরবর্তীতে পরিযায়ী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়।

তাই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি দেশে। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীরা মোদি সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইছে লকডাউনের। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি কেন্দ্রের কাছে এই নিয়ে একটি লিখিত প্রশ্ন করেন। দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই উত্তর দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি প্রশ্ন রাখেন, তেইশে মার্চ মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন কেন দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল? তড়িঘড়ি লকডাউন করে কি করোনা পরিস্থিতি কে সামাল দেওয়া গেছে?

এর উত্তরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উত্তর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, দেশে লকডাউন না করলে করোনা সংক্রমণ অতি দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়বে। মানুষের মৃত্যু সংখ্যা আরো কয়েক লাখ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। এদিন নিত্যানন্দ রাই কংগ্রেসের প্রশ্নের উত্তরে জানান, 7 জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাস ভারতের বুকে দেখা দেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপর থেকেই সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় করোনা মোকাবিলার জন্য। যার মধ্যে অন্যতম ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করে দেওয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্রুত লকডাউন ঘোষণা না করলে করোনা ভাইরাস আরো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তো দেশজুড়ে। লকডাউনের ফলে করোনার ব্যাপ্তি আটকানো গেছে এবং সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্চের পর থেকে দেশে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 22 গুণ।

একইভাবে আইসিইউতেও বেডের সংখ্যা 14 গুণ বাড়ানো হয়েছে। ঠিক এর পাশাপাশি দেশজুড়ে গবেষণাগারের সংখ্যাও বেড়েছে 10 গুণ। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তড়িঘড়ি লকডাউন এর ফলে দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে। সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এবং করোনা পরিস্থিতি লকডাউনের ফলে যে মোটেই সামলানো যায়নি, তার প্রমান করোনা তালিকায় ভারতের ক্রমশ উপরে উঠে আসা। সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি যে বিরোধীদের খুশি করতে পারবেনা, সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উত্তরে বিরোধীরা নতুন করে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!