এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > একদিকে মতুয়া, অন্যদিকে জঙ্গলমহল, বিজেপির জোড়া সভায় কি চাপ বাড়ছে শাসকদলের ?

একদিকে মতুয়া, অন্যদিকে জঙ্গলমহল, বিজেপির জোড়া সভায় কি চাপ বাড়ছে শাসকদলের ?

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর বাংলায় বিজেপির রথের চাকা আর গতি পায়নি। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনি লড়াইতেও হার হয় বিজেপির। লোকসভা ভোটের আগেই হার প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে গিয়েছিল দিলীপ ঘোষ-অমিশ শাহের কাছে। ঠিক ছিল রাজ্যের প্রায় সিংহভাগ লোকসভা,বিধানসভা আসন ছুঁয়ে বিজেপির রথযাত্রা শেষ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে ভাষণের মাধ্যমে।

৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করিয়ে তৃণমূলের ব্রিগেডকে টেক্কা দিতে চেয়েছিল মুরলীধর লেনের কর্তারা। কিন্তু সে অভীষ্ট পূরণ হল না বিজেপির। তাই সেই রথযাত্রার বিকল্প কর্মসূচি হিসাবে ‘গনতন্ত্র বাঁচাও’ অভি্যান করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে সভা করানোর তড়ঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল দিলীপ ঘোষেরা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন মোদী। একইদিন আসানসোল এবং ঠাকুরনগরে জোড়া সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।

দলের জাতীয় সভাপতি অমিত শাহের সূত্র ধরেই এই ‘গনতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির শুভ সূচনা করেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার দরুণ তাকে ফিরে যেতে হয়েছে দিল্লিতে। অমিত শাহের চলে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছিল দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়েরা। কিন্তু সে সভার সময়সূচি পিছিয়ে গেল। খবর এল ২৮ জানুয়ারি মোদী আসছেন না বাংলায়। এ খবরে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

তারপর ফের দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন ২৮ জানুয়ারির বদলে ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনটি সভা আর হচ্ছে। বাতিল হল শিলিগুড়ির সভা। ২ তারিখই ঠাকুরনগর এবং আসানসোলে সভা করবেন মোদী। আগে ঠিক ছিল,২৮ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, ৩১ জানুয়ারি ঠাকুরনগর এবং ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মোদীর সভার সেই নির্ঘন্টই বদলে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে,মোদী-শাহের পর বাংলায় সভা করতে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফেব্রুয়ারীতে যোগী বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতে সভা করবেন। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারীতে বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে সভা করবেন তিনি। প্রথমে জঙ্গলমহল তারপর উত্তরবঙ্গের মানুষকে কাছে পেতে সভা করবেন যোগী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পর বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বাংলায় সভা করতে আসবেন বিপ্লব দেব।

উল্লেখ্য,বারবার বিজেপির কর্মসূচি নির্ঘন্ট বদলের ফলে বাংলায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এ নিয়েই আশঙ্কায় ভুগছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা৷ তবে আগামী মাস থেকেই ফের বঙ্গবিজেপির দলীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল শক্ত করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলছে গেরুয়াশিবিরের হেভিওয়েট।

টার্গেট করা হয়েছে মতুয়া এবং জঙ্গলমহলের ভোটব্যাঙ্ককে। সেই অনুযায়ীই সভার স্থান নির্ধারণ করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে এই দুই ভোটব্যাঙ্ক হাতছাড়া হয়ে গেলে জয় পেতে তৃণমূলকে ভালোই বেগ পেতে হবে এতে সন্দেহ নেই কোনো। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি বাংলার শাসকদলকে চাপে ফেলল কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!