একদা বাম সরকারের আমলে উত্তর 24 পরগনার মতুয়া ভোটকে নিজেদের হাতে রাখতে বারে বারে মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে এসছছেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে থাকার কারণে আর সেই বড়মার কাছে আসতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু সামনেই সেই সারা মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবী 100 বছরে পদার্পণ করছেন। আর তাঁর এই জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আগামী 15 ই নভেম্বর গাইঘাটার ঠাকুরনগরে আসার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

জানা গেছে, বড়মার এই শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। যেখানে আহ্বায়ক হিসেবে মমতাবালা ঠাকুর এবং সহ আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সারা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাপতি ডাঃ নন্দদুলাল মহন্ত। এদিকে বীণাপাণি দেবীর জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। তাই এই ব্যাপারে লাগাতার প্রচার করতে শনিবারই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিলো উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, এদিন গাইঘাটা বাজারে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিধায়ক, ব্লক এবং পুরসভায় তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। এদিন এই সভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে অসমের এনআরসি নিয়ে ফের গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়ে আগামী 12 ও 13 এবং 14 ই নভেম্বর জেলা জুড়ে মিছিল এবং পথসভার কথা ঘোষণা করেন খাদ্যমন্ত্রী।

রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনে লোকসভা ভোট। মতুয়ার মানুষদের পাশে থেকে এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে এদিন তৃণমূল আবারও নিজেদের জনদরদি হিসেবে প্রমাণ করলো। এদিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “অসমে বিজেপি এনআরসি করেছে। এই রাজ্যে করতে এলে তাদের মানুষের তাড়া খেতে হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে আগামী 15 ই নভেম্বর গাইঘাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় শরীর সুস্থ থাকলে বড়মা বীণাপাণি দেবীও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সব মিলিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের ভোট যে তাদের দখলেই আছে তা প্রমাণ করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির।