এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে এবার শাসকদলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া শুরু গেরুয়া শিবিরের

মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে এবার শাসকদলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া শুরু গেরুয়া শিবিরের

আসামে নাগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে 40 লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ায় এরাজ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে নেমেছে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যের সব জায়গায় এই এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদেও পক্ষে কে কতটা ভোট নিজেদের ঘরে তুলতে পারবে সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা না গেলেও এ রাজ্যেরই নদিয়ায় আসন্ন লোকসভা ভোটে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি যে বড় নির্ধারক হতে যাচ্ছে, তা কার্যত স্পষ্ট।

 ইতিমধ্যেই এই নাগরিকপঞ্জীর সিদ্ধান্তে নদীয়ার বড় ভোটব্যাঙ্ক মতুয়ারা তৃনমূল না বিজেপি কার সঙ্গে রয়েছেন, তার প্রমাণ দিতে মরিয়া রাজ্যের শাসক বিরোধী উভয়পক্ষই। জানা গেছে, বিজেপি এই নাগরিকপঞ্জীর সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় মতুয়াদের সঙ্গে নিয়ে একাধিক বার রেল ও পথ অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এবার তাঁরই পাল্টা হিসাবে সেই তৃনমূলকে চাপে ফেলে বুধবার মতুয়াদের একটি অংশকে ময়দানে নামিয়ে কৃষ্ণগঞ্জের ভাজনঘাট মোড়ে তাদের নিয়ে নিয়ে একটি মিছিলও করল গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা।কম যায়না তৃনমূল কংগ্রেসও।  বিজেপির এই মতুয়াদের এই মিছিলের দিনই কৃষ্ণনগরে মিছিল ও পথসভা করেন টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। যেখানে অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রয়োগ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি।

এদিকে কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করিমপুর বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘‘যারা ও পার থেকে এসে জমি কিনে, মেয়ের বিয়ে দিয়ে, পড়াশোনা করে, চাকরি করে সুস্থ জীবনযাপন করছেন, ওরা তাঁদেরও পাঠিয়ে দিতে চাইছে।” প্রত্যেকটি জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও ডাক দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারে পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় সাফল্য পাওয়ার পরে নদিয়ার দু’টি লোকসভা আসনকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন সময় তাদের নেতারা এই জেলায় এসে সভা করেছেন। কদিন আগেই দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আসেন নদীয়ায়।

সূত্রের খবর, এ দিন চাকদহে সভা করতে আসার মুখে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়েন রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য। ‘ওদের জন্য আবার আমরা দেশছাড়া হব’ বলে চিৎকার করতে থাকেন কেউ-কেউ। অভিযোগ, ইট মেরে গাড়ির তাঁর গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়। তবে এদিন বিজেপির মিছিলে আসা কৃষ্ণগঞ্জের মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম  গোপাল অধিকারী বলেন, “শুধু মতুয়া কেন, আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে আসা সমস্ত হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। বিজেপি তা-ই বলছে।” কিন্তু অসমে ‘অবৈধ’ তালিকায় যে কয়েক লক্ষ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও নাম রয়েছে? জবাব আসে, “রাজনাথ সিংহ তো বলেই দিয়েছেন যে এ ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। আমাদের কোনও ভয় নেই।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

বিজেপি আপাতত বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের ‘শরণার্থী’ ও ‘অনুপ্রবেশকারী’— এই দুই গোত্রে বিভাজন করতে ব্যস্ত। প্রথম গোত্রের লোকেদের থাকতে দিতে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। বিজেপির দক্ষিণ সাংগঠনিক  নদিয়া জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার আবার বলেন, “হিন্দুরা যে জন্যই আসুক, তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। কারণ ভারতই পৃথিবীতে এক মাত্র হিন্দু রাষ্ট্র!” তবে এ তথ্য তিনি কোথায় পেলেন, তা অবশ্য জানাননি গেরুয়া শিবিরের এই নেতা। সব মিলিয়ে নদীয়ায় দুটো লোকসভা আসন ধরে রাখতে মতুয়াবাসীই বড় সম্বল শাসক তৃনমূল ও বিরোধী বিজেপির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!