বড়মার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত, গান গেয়ে মাত কৈলাসের, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ মন্ত্রীর নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য March 18, 2019 শুরু হয়েছিল তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে। কিন্তু এবার দ্বিধাবিভক্ত ঠাকুর পরিবারের প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হল রাজ্যের শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে। যার একদিকে সেই ঠাকুর পরিবারের প্রয়াত বড়মার ছেলে তথা বিজেপির মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং শান্তনু ঠাকুর এবং অন্যদিকে সেই ঠাকুর পরিবারেরই অন্যতম সদস্যা তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর। সূত্রের খবর, শুক্রবার ঠাকুর বাড়িতে সেই প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান দুই পক্ষের তরফে দু জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়। আর এরপর রোববার সেখানে মহোৎসবের আয়োজন করা হলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের শিবিরের তরফে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অভিযোগ, সেইখানে গিয়ে এই বিজেপি নেতা নাগরিকত্ব নিয়ে ভাষণ দেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ঠাকুরবাড়ির মমতা বালা ঠাকুরের শিবিরের তরফে মহোৎসবে উপস্থিত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এখন নির্বাচনী বিধি চলছে। অথচ কৈলাসবাবু নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।” এদিকে মঞ্জুলবাবুদের শিবিরে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রয়াত বড়মাকে নিয়ে একটি হিন্দি গান গাওয়ায় এদিন তার বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তিনি বলেন, “ঠাকুরবাড়িকে কেউ যদি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে থাকে তাহলে তিনি ভুল করবেন। বড়মা মারা গিয়েছেন। সারাদেশের ভক্তদের কাছে এটা শোকের সময়। অথচ কৈলাসবাবু রাজনীতি করার জন্য এখানে হিন্দি গান দিয়ে বেড়াচ্ছেন।” পাশাপাশি মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরদের তরফে সেই মহোৎসবে আমিষ রান্নার বন্দোবস্ত করা হলে এদিন তা নিয়েও তাদের খোঁচা দিতে ছাড়েননি খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মহোৎসবে নিরামিষ হয়। ওরা মাছ করে মতুয়াদের নিয়মভঙ্গ করেছেন।” এদিকে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা তার জবাব দিয়েছেন সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। এদিন তিনি বলেন, “মতুয়াভক্তরাই দুরকমের খাবারের আয়োজন চেয়েছিলেন। তাই ওই খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।” সব মিলিয়ে এবার শেষকৃত্য থেকে শুরু হওয়া প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীকে নিয়ে চলা রাজনৈতিক তরজা সেই বড়মার মহোৎসবেও শাসক-বিরোধী তরজায় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করল। আপনার মতামত জানান -