এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মতুয়া-গড়ে গেরুয়া ঝড় থামিয়ে আবারো ঘাসফুলের দাপট ফেরাতে ভরসা সেই মমতাই, বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের

মতুয়া-গড়ে গেরুয়া ঝড় থামিয়ে আবারো ঘাসফুলের দাপট ফেরাতে ভরসা সেই মমতাই, বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলায় শাসনভার কায়েম রাখতে চাইছে শাসকদল। অন্যদিকে তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করার লড়াইয়ে নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দলের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সভা করার কথা জানা গেছে।

এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যে মাঠে জনসভা করে গিয়েছেন, আগামী ৯ই ডিসেম্বর সেখানেই জনসভা করতে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, গোপালনগরের হরিপদ ইন্সটিটিউশনের ওই মাঠে ৯ই ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সেই জনসভার প্রস্তুতি রবিবার থেকেই শুরু করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে সভা সফল করতে রবিবার গোবরডাঙায় প্রস্তুতি মিটিং করতে দেখা গেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সেখানে দলীয় কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানা গেছে। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আমরা ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত করার টার্গেট নিয়েছি।” সেইসঙ্গে বনগাঁ মহকুমার বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

সেইসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আমরা প্রমাণ করে দেব, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি এই মহকুমা।’’ অন্যদিকে, বিশ্লেষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাকে সামনে রেখে ভোটের আগে বনগাঁ মহকুমায় নিজেদের ক্ষমতা কায়েম রাখার লড়াই শুরু করেছে তৃণমূল। বস্তুত, লোকসভা ভোটের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বনগাঁ মহকুমায় আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বনগাঁ স্টেডিয়ামে সভা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এবারের সভা রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের কথায়, সাম্প্রতিক সময়ে বনগাঁ মহকুমায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ৪টিতে জয়লাভ করে।

সেখানে লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলের বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগদান করেছিলেন বলে জানা যায়। এছাড়া বনগাঁ পুরসভার আর কয়েকজন কাউন্সিলরকেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। ফলত স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের যে এখানে শক্তিক্ষয় হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য।

সেখানে আগুনে ঘিয়ের মত কিছুদিন আগে এখানে আবার শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়ার পোস্টার পড়েছিল। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত বনগাঁয় লোকসভায় লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সেইসঙ্গে এর কারণ হিসেবে সামনে আসে মতুয়া ভক্তদের একটা বড় অংশের বিজেপি সমর্থন।

লোকসভার অন্তর্গত মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুর পিছিয়ে ছিলেন। ফলত লোকসভা ভোটে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তাই এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল যে পুরনো জায়গাটা আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সেই কথাই মনে করেছেন বিশ্লেষকরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!