এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়া মহাসভায় অনুপস্থিত থেকে বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপি সাংসদ

মতুয়া মহাসভায় অনুপস্থিত থেকে বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপি সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবির থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের করে পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও এখনো পর্যন্ত মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর তাই নিয়ে ক্রমাগত মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ জমছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর গেরুয়া শিবিরে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। রাজনৈতিক মহলেও শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। প্রকাশ্যে শান্তনু ঠাকুর নাগরিকত্ব নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। আর এবার মতুয়া মহাসভায় উপস্থিত না থেকে শান্তনু ঠাকুর বিতর্ক বাড়লেন।

কিন্তু পরিস্থিতি আদৌ কি বদল হচ্ছে? তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন। আর সে প্রশ্ন আরো জোরদার হয়ে উঠলো বুধবার। বুধবার নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বাগদার রামনগর প্রাইমারি স্কুলের মাঠে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের মতুয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে শতাধিক মতুয়া ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং মতুয়া সংঘের শীর্ষ নেতা সুব্রত ঠাকুর এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সূত্রের খবর, সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বাগদা বাজার পর্যন্ত মিছিলে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু সেখান থেকে সভার মাঠ পর্যন্ত তিনি আর যেতে পারেননি। তবে শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুর মাঠে আসেন। কিন্তু সম্মেলনে যোগ না দিয়েই ফিরে যান। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সভায় ব্যাপক বিশৃংখলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাপতি স্বপন মজুমদার অবশ্য জানিয়েছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বাইরে থেকে ঢুকে গন্ডগোল করেছে। আর তার ফলেই সুব্রত ঠাকুরকে ফেরত যেতে হয়েছে। অন্যদিকে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী গোপা রয় এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, কোনরকম গন্ডগোলের সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। মতুয়াদের অনুষ্ঠানে বিজেপির পতাকা দেখে সুব্রত ঠাকুর চলে গিয়েছিলেন। তবে মতুয়া সভার মাঠে কেন উপস্থিত হননি শান্তনু ঠাকুর তাই নিয়ে কিন্তু শুরু হয়েছে কাঁটাছেঁড়া। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তনু ঠাকুরের কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

তবে বিজেপির বনগাঁ জেলার সম্পাদক অমৃতলাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, শান্তনু ঠাকুরের জরুরী বৈঠক থাকার দরুণ তিনি মাঝরাস্তা থেকে ফিরে যান। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, শুধুমাত্র দলীয় কোন্দলের কারণে শান্তনু ঠাকুর মতুয়া মহাসভায় অংশগ্রহণ করেননি। আর সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের দূরত্ব বাড়ার প্রশ্নটি কিন্তু উঠে এলো। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই কিন্তু রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। এই অবস্থায় মতুয়ারা যেকোন রাজনৈতিক দলের কাছেই দামী ভোটব্যাঙ্ক। যথারীতি মতুয়াদের কাছে পেতে আসরে কিন্তু তৃণমূল ও বিজেপি দুদলই নেমেছে। সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের গেরুয়া শিবিরে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিকত্ব ইস্যু এই মুহূর্তে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার গেরুয়া শিবিরের কাছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!