এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক আগলে রাখতে নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের গড়ে আগামী দিনের দায়িত্ব কার হাতে দিতে চায় তৃণমূল, জানালেন মহাসচিব

মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক আগলে রাখতে নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের গড়ে আগামী দিনের দায়িত্ব কার হাতে দিতে চায় তৃণমূল, জানালেন মহাসচিব


সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর নদীয়ায় মতুয়া সংগঠনের মুখ কে হবেন তা নিয়ে চিন্তায় কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল শাসকদলের। কারণ লোকসভা ভোটের আর বেশি দিন বাকি নেই। নদীয়ায় তৃণমূলের মতুয়া সংগঠনকে ধরে রেখেছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস।

সম্প্রতি সরস্বতী পুজোর রাতে তাঁর হত্যাকাণ্ড রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে শাসকদলের। আর এই সুযোগেই নদীয়ায় মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন দিলীপ ঘোষ-শান্তনু ঠাকুরেরা। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের দিয়ে সভা করিয়ে মতুয়া রাজনীতি সরগরম করে তুলেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে নদীয়ায় তৃণমূলের মতুয়া সংগঠনের হাল ধরে রাখতে সত্যজিৎ বিশ্বাসের বিকল্প মুখ খুঁজছিল ঘাসফুল শিবির।

আর এই প্রেক্ষিতেই নিহত বিধায়কের স্ত্রী রূপালি হালদার বিশ্বাসকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা ভোটে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে রূপালি দেবীকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিলেন নদীয়া জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পার্থ বাবু। দলের মহাসচিবের এই প্রস্তাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন তৃণমূলের জেলার নেতারা। তবে পার্থ বাবুর আবেদনে এখনই কোনো মন্তব্য করতে নারাজ রূপালি দেবী। তাঁর বক্তব্য,’এই মুহূর্তে কথা বলার অবস্থায় নেই আমি।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত,বিধায়ক খুনের পর থেকেই লোকসভা ভোটে কৃষ্ণগঞ্জের প্রার্থী কে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল তৃণমূলের অন্দরে। প্রথম থেকে বিধায়কের স্ত্রীর নাম উঠে আসলেও তালিকায় নাম ছিল আরো দু’এক জনের। তবে গতকাল কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে নিহত বিধায়কের স্মরণসভায় সত্যজিতের স্ত্রী রূপালি দেবীর নামেই কার্যত সীলমোহর দিয়ে দিলেন জেলা পর্যবেক্ষক।

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থবাবু বললেন,”যত বড়ই বিপদ আসুক। বিপদ সামলাতে হবে। ছেলেকে বড় করতে হবে। দেশের কাজে নামতে হবে, দশের কাজে নামতে হবে। সত্যজিৎ আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, আপনিও আমাদের সদস্য। আপনার ত্যাগ না থাকলে, সত্যজিতের এত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকত না। আপনার ত্যাগের কথা মনে রেখে, আমাদের আবেদন, আপনিও যদি আমাদের দলে আসেন, কাজ করেন, আমরা আপনাকে সাদরে গ্রহণ করব।”

তবে শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রূপালী দেবী। তবে কিছুদিন পরে এ ব্যাপারে তিনি সদর্থক কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা রয়েছে তৃণমূলের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক জেলা নেতা জানান,মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বিধায়কের স্ত্রীকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কৃষ্ণগঞ্জের ভোটে দাঁড়ালে বিধায়কের স্ত্রী এখানে সহানুভূতির ভোট পাবেন। এছাড়া মতুয়া ভোটব্যাঙ্কও ধরে রাখতে পারবেন।

এই মুহূর্তে নদীয়ায় মতুয়া মতাবলম্বীদের মুখ তেমন কেউ নেই। কাজেই নিঃসন্দেহে বিধায়কের স্ত্রীকে দিয়ে লোকসভা ভোটে মতুয়া প্রভাবিত এলাকার প্রচার চালাতে পারবে তৃণমূল। সত্যজিৎ বাবুর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়েই মতুয়াদের সঙ্গে জনসংযোগ তৈরি করতে পারবেন নিহত বিধায়কের স্ত্রী রূপালী দেবী। এখন এই প্রেক্ষিতে তৃনমূলের মহাসচিবের আবেদনে রূপালী দেবী সাড়া দেন কিনা সেদিকেই নজর রয়েছে শাসকদলের হেভিওয়েটদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!