এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিরোধীদলের নেতার সাথে চুটিয়ে আড্ডা,তবে কি দল ছাড়তে চলেছেন মেয়র? জল্পনা তুঙ্গে

বিরোধীদলের নেতার সাথে চুটিয়ে আড্ডা,তবে কি দল ছাড়তে চলেছেন মেয়র? জল্পনা তুঙ্গে


বিকেলে ভোরের ফুল ফুটতে চলেছে কি তৃণমূলে? এখন এই জল্পনাই চলছে গোটা শিলিগুড়িতে। কেন এমন জল্পনা ? ব্যাপার হলো তৃণমূলের সাথে যার সাপে- নেউলে সম্পর্ক সেই শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য- কেই এদিন হাসিমুখে তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল দত্তের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা গেলো তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের অফিসে। ফলে জলঘোলা হচ্ছে সর্বত্র। আর এই নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেছে রাজনৈতিকমহল। জল্পনা উঠেছে তবে কি এবার তৃণমূলের পথে আর এক বাম নেতা। যারা বলছেন তৃণমূলে যোগের কথা তাদের যুক্তি হলো অশোকবাবুর আর বাম দলে কিছু পাবার নেই।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

সম্প্রতি তাঁকে দল তেমন কোনো পদ ও দেয়নি আর তা নিয়ে মুখে কিছু না বললেও অখুশি মনে মনে। তা ছাড়া তেমন সমান পাচ্ছেন না দলেও বলে মত তাদের। এদিকে আবার পৌরসভা ও মহকুমা পরিষদের বাম সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আর মন্ত্রী গৌতম দেব ঘোষণা করেছেন যে যাঁরা বাকি আছেন তারাও তৃণমূলে যোগ দেবেন ফলে খুব শীঘ্রই বামেদের হাত থেকে মহকুমা পরিষদ তৃণমূল ছিনিয়ে নেবে। তবে কি তাই এবার নিজের অস্তিত্ব বাঁচাতে তৃণমূলে ঝুঁকেছেন স্বয়ং মেয়রও উঠেছে প্রশ্ন ? যদিও এই সব জল্পনায় জল ঢেলেছেন স্বয়ং মেয়র। তিনি জানান যে,“আমি তো গোটা শহরের মেয়র। তাই ঘুরছি বিভিন্ন ওয়ার্ডে। তৃণমূলের দখলে থাকা ওয়ার্ডেও যাচ্ছি। কথা বলছি মানুষজনের সঙ্গে। কাউন্সিলরের সঙ্গে। এর মধ্যে রাজনীতির কিছুই নেই।” অন্যদিএক সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল দত্ত ও। তিনি বলেন, “সেসব কিছু নয়। মেয়র আমার ওয়ার্ডে এসেছিলেন। আমি অফিসেই ছিলাম। তাঁকে বসিয়েছি দপ্তরে। এর মধ্যে অন্য কিছু খুঁজবেন না।” তবে যায় হোক দু দিন আগে পর্যন্ত যে মানুষটি তৃণমূলকে দুষ্ট ছাড়েন নি বা যাঁরা তাঁকে ও তাঁর দলকে দুষতে ছাড়েন নি তাঁরা হঠাৎ করে এমন ভাবে একসাথে গল্প করছেন সেটা খুব একটা সহজ করে দেখছেন না রাজনৈতিকমহল। তবে যায় হোক ভবিষ্যৎই বলবে কি হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!