এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “মে মাসের মধ্যে চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, কাটমানি, তোলাবাজির বিরুদ্ধে টিকার ব্যবস্থাও করে দেবে বাংলার মানুষ।” কটাক্ষ জে পি নাড্ডার

“মে মাসের মধ্যে চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, কাটমানি, তোলাবাজির বিরুদ্ধে টিকার ব্যবস্থাও করে দেবে বাংলার মানুষ।” কটাক্ষ জে পি নাড্ডার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে এক চিঠি দিয়েছিলেন। যে চিঠিতে তিনি রাজ্যের মানুষকে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন দেবার ব্যবস্থা করে দেবার দাবি জানান। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার কোথা থেকে কিনতে পারবে ভ্যাকসিন? তা জানিয়ে দিক কেন্দ্র। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, করোনার ভ্যাকসিন সকলেই পেয়ে যাবেন। আগামী মে মাসের মধ্যে চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, কাট মানি, তোলাবাজির বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

গতকাল ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী মাঠে সভা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। এই সভা থেকে তিনি জানালেন যে, গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ৫৯ বছরের উর্ধ্বের নাগরিকদের আগামী ১ লা মার্চ থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত কারোর শরীরে যদি কোমর্বিডিটি থাকে, যদি কারোর ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তাকেও ভ্যাকসিন দেয়া হবে এবারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, চিঠি লিখে আসলে ভোটের আগে লোকদেখানো রাজনীতি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, করোনার টিকা সকলেই পেয়ে যাবেন। মে মাসের মধ্যে চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, কাট মানি, তোলাবাজির বিরুদ্ধেও টিকার ব্যবস্থা করে দেবেন রাজ্যের মানুষ। তিনি জানালেন আয়ুষ্মান ভারত, পিএম কিষান নিধির টিকাও দেয়া হবে।

জে পি নাড্ডা জানালেন, বাংলার সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কিন্তু এই মহান সংস্কৃতির ঐতিহ্য আজ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, সরস্বতী পুজো সারাদেশে হয়। সারা দেশ জানে এগুলি বাংলার উৎসব। কিন্তু বাংলাতেই এই উৎসব সংকটে পড়েছে। বাংলার মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা কেমন রাজ্য চান? জনতার উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, বাংলার অগ্রগতি হোক, বৃদ্ধি হোক? দুর্নীতি মুক্ত রাজ্য হোক? নাকি এই ভ্রষ্টাচার, কাটমানি, সন্ত্রাসের রাজত্ব রাখতে চান বাংলার মানুষ?

প্রসঙ্গত, গত বুধবার হুগলির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। ব্যবহার করেছিলেন ‘হোঁদল কুতকুত’, ‘কিম্ভুত কিমাকার’ শব্দদুটি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানালেন যে, এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। তিনি প্রশ্ন করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কী ভাষায় কথা বলছেন তাঁদেরকে নিয়ে? তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাষাকে মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবেন। পিসি ভাইপো সরকারকে পরাস্ত করবেন মানুষ। এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত যে, মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। যা পরিস্কার হয়ে উঠেছে।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!