এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মিড্ ডে মিলে বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র তবু ক্ষোভ শিক্ষকমহলে,কারণ জেনে নিন

মিড্ ডে মিলে বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র তবু ক্ষোভ শিক্ষকমহলে,কারণ জেনে নিন

মিডডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ বাড়ালেও সন্তুষ্ট নন রাজ্যের শিক্ষকরা। প্রাথমিকে পড়ুয়া পিছু ২২ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে পড়ুয়া পিছু ৩৩ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতো যৎসামান্য বরাদ্দ বৃদ্ধি কোনো কাজে আসবে না বলেই বক্তব্য তাঁদের। এটুকু বরাদ বাড়িয়ে কেন্দ্র আবার দাবী করেছে মিডডে মিলে ফের দুধের অন্তর্ভুক্তি ঘটানো হোক।

কিন্তু এই ন্যূনতম বরাদ্দে তা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়,স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা। পড়ুয়া পিছু ১০ টাকা করে না বাড়ালে পড়ুয়া দের পুষ্টি মোকাবিলাই ব্যর্থ হবে এমনটাই যুক্তি তাঁদের। আর এই যুক্তিকে সামনে রেখেই পড়ুয়া পিছু ১০ টাকা করে বাড়ানোর দাবী জানালেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা ভীমসেন বিসওয়াল। প্রসঙ্গে জানালেন,কেন্দ্রের বাস্তব জ্ঞানের অভাব রয়েছে। বর্তমান বাজার দর সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই নীতিনির্ধারকদের।

সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুলশিক্ষা দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৪ টাকা ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৬ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬টাকা ৫১ পয়সা করা হয়েছে। কেন্দ্রের ৬০ শতাংশ অংশীদারিত্বের মধ্যেই সেটা বাড়ানো হয়েছে। গোটা দেশে মিড ডে মিল খাতে ৫.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। তবে রাজ্য যদি চায়,তাহলে তাদের কোষাগার থেকে এই বরাদ্দ বাড়াতে পারে। নয়া এই বরাদ্দ কার্যকর করা হবে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে।

এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল শিক্ষকমহলে। তাঁদের মতে,অন্যান্য প্রকল্প ঢেলে সাজাতে কেন্দ্র সরকার লাগাতার বরাদ্দ বাড়াচ্ছে। কিন্তু যে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শিশুদের ভবিষ্যত, তা নিয়ে সরকারের এতো কার্পণ্য কিসের?

পড়ুয়াদের জন্যে প্রকল্পে মাত্র ৫% বরাদ্দ বৃদ্ধি মোটেই কাম্য নয়। নিদেনপক্ষে ২৫-৩০% বরাদ্দ বাড়ানো উঠিৎ ছিল কেন্দ্রের। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর গোটা দায় চাপানো হলেও,রাজ্যে এ ব্যাপারের নিজেদের ভাগের টাকা দিয়ে কেন এগিয়ে আসছে না,সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এই ইস্যুতে লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিজেপি-তৃণমূল কাদা ছোঁড়াছুড়ি খেলায় মাতবে সেটা খুব স্বাভাবিক। তবে সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় রাজ্য কতোটা মিডডে মিলে বরাদ্দ বাড়াতে পারবে,তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে মিডডে মিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির পর প্রতিবাদে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। পন্যদ্রব্যের মূল্যে যেভাবে মাত্রাছাড়া বাড়ছে মোদী সরকারের জামানায় তাতে কোন জিনিসের কেমন বাজারদর রয়েছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই কেন্দ্রের। নিজেরাই জ্বালানির দাম লাগাতার বাড়িয়ে যাচ্ছে,অথচ পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা ভেবে মিডডে মিলে বরাদ্দ বাড়াতে পাড়ছে না।

পড়ুয়া পিছু অন্তত দু,তিন টাকা বাড়ানো হলেও লাভের লাভ হবে না কিছু। ১০ টাকা করে বাড়ালে তবেই পরিস্থিতি পাল্টাবে,এমনটাই বক্তব্যে জানালেন ভীমসেন বিসওয়াল। একই কথায় সুর টানতে দেখা গেল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সাহাকে। তিনিও কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন তুললেন,বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর কথা বলা হচ্ছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এই দুর্মূল্যের বাজারে এই বরাদ্দে কি তা সম্ভব? এই সামান্য পয়সা বাড়িয়ে আসলে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ বাড়ানোর নাম কিনতে চাইছে। পড়ুয়াদের উপকার করার কোনো সদিচ্ছা নেই সরকারের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!