মেডিক্যাল মিটতে না মিটতেই নতুন বিদ্রোহে কপালে ভাঁজ রাজ্য সরকারের মেদিনীপুর রাজ্য July 24, 2018 সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছেনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের হোস্টেল গুনমান, পরিকাঠামো এবং আসন না মেলা ছাত্রদের অনশন-পর্ব শেষ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হলো অন্য আন্দোলন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসী এলাকার বিদ্যালয়গুলিতে প্রকৃত সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিক্ষা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করলেন আদিবাসীরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর নেপথ্যে ছিলো আদিবাসী সোসিও এডুকেশনাল কালচারাল অ্যাসোশিয়েশন ও ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল নামক দুই সংগঠন। এই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সোমবার বেলা দশটা থেকে তবে এই দুই সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিদের দাবি সকারের তরফ থেকে লিখিতভাবে হাতে কোনো প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। প্রসঙ্গতঃ পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে আদিবাসী এলাকায় বহু বিদ্যালয়ে সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি হরফে পঠন-পাঠন শুরু করা হয়েছে। কিন্তু আদিবাসীদের অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে এই পরিকাঠামো চালু করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেখানে সঠিক অর্থে কোনো সাঁওতালি শিক্ষক নেই। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে কোনো ভাবেই আর সাঁওতালি শিক্ষা পাচ্ছে না। কারণ, উচ্চ বিদ্যালয় স্তরগুলিতে সাঁওতালি শিক্ষা পরিকাঠামো নেই। তাই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এই বিষয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামোর দাবি উঠেছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এই প্রসঙ্গে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সভাপতি রাইসান হাঁসদা নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, জঙ্গলমহলের অনেক উন্নতি করা হবে। কিন্তু কোথায় সেই প্রকৃত উন্নতি? যেখানে জঙ্গলমহলের মূল বাসিন্দাদেরই তাদের শিক্ষায় শিক্ষিত করার সঠিক উদ্যোগ নেই। সবাই আদিবাসীদের নিয়ে রাজনীতি করছে, কিন্তু আদিবাসীদের ক্ষোভ কোথায় সেটা সরকার বুঝতে চাইছে না। আমরা তাই এই শিক্ষার প্রকৃত পরিকাঠামো শিক্ষক ও আলাদা সাঁওতালি বোর্ড গঠনের দাবিতে এই অবস্থান শুরু করলাম। প্রকৃত অর্থে দাবি আদায় না হলে এই অবস্থান চলবে।”এদিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই আন্দোজন জারী রয়েছে। আপনার মতামত জানান -