এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেডিক্যাল কলেজ অগ্নিকান্ডে নয়া মোড় – ঘটনাস্থলে উদ্ধার হল মদের বোতল

মেডিক্যাল কলেজ অগ্নিকান্ডে নয়া মোড় – ঘটনাস্থলে উদ্ধার হল মদের বোতল

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওষুধের স্টোরে কম্পিউটারের ইউপিএস থেকে আগুন লেগেছে। শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। এই ঘটনায় গঠিত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তদন্ত কমিটি সূত্রে মঙ্গলবার এ খবর জানা গিয়েছে। কমিটি’র এক সদস্য জানিয়েছেন, হাসপাতালের পূর্ত বিভাগের ইলেকট্রিক্যাল শাখার কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এবং খোঁজখবর করার পর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, ওষুধের স্টোরের একটি কম্পিউটারের ইউপিএস থেকেই গোটা স্টোরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ফরেন্সিক তদন্তেও শর্ট সার্কিটের জন্য কম্পিউটারের ইউপিএস সিস্টেম থেকে আগুন লাগার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সূত্রের খবর, মেডিসিন স্টোরের ভিতরে নানা বেআইনি কাজকর্ম হওয়ার তথ্য পেয়েছে তারা। তিনটি মোবাইল আটক করা হয়েছে। এছাড়াও স্টোর থেকে বেশ কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। তা দেখে বিস্মিত কর্তারা। তাঁরা জানান, সবটাই স্বাস্থ্যভবনে জানানো হবে।
এদিকে মেডিসিন স্টোরে ওষুধ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে তৈরি হওয়া স্বাস্থ্যভবনের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার মেডিক্যালে আসে। কমিটিতে ছিলেন অন্যতম স্বাস্থ্যসচিব বিনোদ কুমার, অতিরিক্ত সচিব শুভাঞ্জন দাস, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ শৈবাল মুখোপাধ্যায়, পিজি হাসপাতালের ডিন ডাঃ অমল দাস প্রমুখ। সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। দেখা যায়, ওষুধপত্র নষ্ট হলেও, যে আলমারিতে ওষুধ কেনাকাটা সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিল, সেই আলমারিটি নষ্ট হয়নি। ফলে সরকারি অধিকাংশ নথিপত্র সুরক্ষিত থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিটি’র সদস্যরা। বেশ কিছুক্ষণ অকুস্থল ঘুরে দেখার পর তাঁরা মেডিক্যাল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি’র অন্যতম এক সদস্য বলেন, এটি আমাদের দ্বিতীয়বারের পরিদর্শন। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট জমা দিতে পারব।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

মেডিক্যাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের সবচেয়ে বড় এমসিএইচ বাড়ির একতলার ওষুধের কাউন্টার ও গোডাউনে আগুন লেগেছে, নাকি লাগানো হয়েছে— এই বিষয়টি এবং স্টোর সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের রহস্য উন্মোচিত করতে পুলিস, ফরেন্সিক, পূর্ত, দমকল, মেডিক্যাল এবং স্বাস্থ্যভবন স্তরের তদন্ত চলছে। কিন্তু, এখনও কোনও তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি। অনেকগুলি রহস্যর উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে। এক, সকাল আটটা নাগাদ আগুন লাগার সময় ফার্মাসিতে আলো জ্বলছিলো কেন? দুই, স্থানীয়ভাবে বা লোকাল পারচেজের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার ওষুধ কেনাকাটা হচ্ছিল কেন? তিন, সরকারি সংস্থা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স (সিএমএস) নির্ধারিত দামের দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামে ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা চলছিল কেন? যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!