এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মেদিনীপুরের গন্ডি ছাড়িয়ে এবার কলকাতায় শুভেন্দু, তৃণমূলের প্রতিপক্ষ কি এবার মেজো অধিকারী?

মেদিনীপুরের গন্ডি ছাড়িয়ে এবার কলকাতায় শুভেন্দু, তৃণমূলের প্রতিপক্ষ কি এবার মেজো অধিকারী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা রাজ্যের নানা স্থানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ও ছবি দেওয়া পোস্টার ও ব্যানার দিতে শুরু করেছেন। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবির নিচে লেখা থাকছে, ” আমরা তার অনুগামী ” বা ” জনতার সেবক শুভেন্দু ” ইত্যাদি। কিন্তু এবারে দক্ষিণ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর গড়েই পাওয়া গেল শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া পোস্টার। শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার কে বা কারা মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে এভাবে টাঙ্গিয়ে দিয়ে গেল, তা এখনো জানা যায়নি। তবে, এই ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহল বিস্মিত। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে ঢুকে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার দেবার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ করা।

কিন্তু, অনেকে মনে করছেন যে, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে এসে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা তাঁর নামে পোস্টার দিয়ে যাবেন? তা আদৌ সম্ভব নয়। অনেকে মনে করছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে থাকা তৃণমূল দলের কিছু নেতা, কর্মীই হয়তো এই পোস্টার দেওয়ার কাজটি করেছেন। এর পিছনে কার হাত আছে? সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যাচ্ছে না। কিন্তু এই ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে শাসকদল তৃণমূলের। কারণ, শাসকদল তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় নেতা খুব কমই আছেন। জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিচার করলে মুখ্যমন্ত্রীর পরেই তাঁর স্থান।

তাঁর অনুগামীরা রাজ্যের নানা স্থানে পোস্টার দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর নামে। বাংলার যুব সমাজের কাছেও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা আছে শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইতিপূর্বে ” জনতার সেবক শুভেন্দু ” লেখা শুভেচ্ছা বার্তা দুর্গাপূজা, কালীপূজা, ছোটপুজোতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। এই সমস্ত ব্যানারে তৃণমূলের নাম, প্রতীক ছিল কিছুই না। এবার দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন স্থানে তাঁর পোস্টার পাওয়া গেল। যা চিন্তায় ফেলেছে শাসকদল তৃণমূলকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল দলে থেকেও দলের প্রতি বিরূপ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দল ছেড়ে চলে গেলে, দলে তাঁর অভাব পূরণ দলের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন বলে জানেন মুখ্যমন্ত্রী ও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছাড়েন, তবে তৃণমূল দলের একটা বিরাট অংশ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে চলে যাবেন। শুভেন্দু অধিকারীর মত দক্ষ সংগঠক, দাপুটে, জনপ্রিয় নেতা তৃণমূল ছেড়ে গেলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে অপূরণীয় ক্ষতি হবে শাসকদলের।

যদিও শুভেন্দু অধিকারী আগামী দিনে কি রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন? সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানান নি। কিন্তু সরাসরি নাম না করেও, দলের বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য রেখে দলকে তিনি যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলেছেন। অনেকে মনে করতেন মেদিনীপুর ছাড়া অন্যান্য স্থানে শুভেন্দু অধিকারীর তেমন প্রভাব নেই। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের নানা স্থানে তাঁর নাম দেওয়া পোস্টার, তাদের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিল। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে কালীপুজোর রাতে তাঁর পোষ্টার তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

অনেক বলেছেন স্থানে স্থানে দিয়ে জল মাপছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় আছেন তিনি। যে কোন সময় তিনি বিপুলসংখ্যক অনুগামীদের নিয়ে দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। বিরাট ক্ষতি করে দিতে পারেন তৃণমূলে। যে কারণে চাপা আশঙ্কায় দিন গুনছে তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!