এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর কি ক্রমশ ঘাসফুলের হাতের বাইরে? জল্পনা বাড়িয়ে পদত্যাগ একাধিক স্থায়ী সমিতির সদস্যের!

মেদিনীপুর কি ক্রমশ ঘাসফুলের হাতের বাইরে? জল্পনা বাড়িয়ে পদত্যাগ একাধিক স্থায়ী সমিতির সদস্যের!


জেলা তৃণমূলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে বেনজিরভাবে একের পর এক সদস্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করলেন। এখনো পর্যন্ত ৯ জন সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা পড়েছে বলেই খবর দলীয় সূত্রের। এই পদত্যাগপত্র জমা পড়ার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে, এমনটাই নিয়ম পঞ্চায়েত আইনের।

কয়েকজন সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলেই জানান সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা। তবে এ ব্যাপারে মিডিয়াকে কিছু জানাতে চাইলেন না তিনি। একই বক্তব্য জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সহ সভাধিপতি অজিত মাইতির। এটাকে ‘তৃণমূলের আভ্যন্তরীন বিষয়’ বলেই কিছু বলতে নিজের আপত্তি ব্যক্ত করলেন তিনি।

অন্যদিকে,উক্ত ব্যাপারে জেলা পরিষদের সচিব প্রবীর ঘোষও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। জেলা পরিষদ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এখনো আরো তিনজনের পদত্যাগপত্র দেওয়ার ব্যাপারে দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্মল ঘোষ, পূর্তের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ তথা ওই স্থায়ী সমিতিতে থাকা শৈবাল গিরি, বিদ্যুতের স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ তথা ওই স্থায়ী সমিতিতে থাকা অমূল্য মাইতি, শ্যামপদ পাত্র, রমাপ্রসাদ গিরি সহ মোট ৯জন ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ফেলেছেন।

এই পদত্যাগপত্র দেওয়া সিংহভাগ সদস্যই দুটি করে স্থায়ী সমিতির সদস্য ছিলেন। একটি করে স্থায়ী সমিতি থেকেই পদত্যাগ করেছেন তাঁরা। তবে যা হচ্ছে তা রাজ্যনেতাদের সিদ্ধান্তেই হচ্ছে। জেলাকে যা নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সেটাই পালন করছে নেতৃত্বরা,এমনটাই বক্তব্য অজিতবাবু। জানা গিয়েছে,সম্প্রতি জেলার বেশ কয়েকজন নেতাকে কোলকাতা ডেকে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেখানেই এই সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা হয়। যদিও এদিনের পদত্যাগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি অমূল্যবাবু,নির্মল বাবুরা।

উল্লেখ্য,গত ১১ অক্টোবর স্থায়ী সমিতি গঠন হয়। এই জেলা পরিষদের সব কটি স্থায়ী সমিতিতেই স্থান পান দল ছেড়ে যাওয়া কর্মাধ্যক্ষরা। তবে বেশিরভাগদেরই তাঁদের নিজস্ব দপ্তর ছাড়া অন্য দপ্তরের স্থায়ী সমিতিতেও রাখা হয়। এরসঙ্গে দায়িত্বে আনা হয় বেশ কয়েকজন নতুনদের। তবে হঠাৎ করে পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বোঝা গেল কর্মাধ্যক্ষদের নাম চূড়ান্ত করতে গিয়ে পরিকল্পনা মাফিক রাজ্যনেতৃত্বদের নির্দেশ মতো কর্মাধ্যক্ষ করা যাচ্ছে না।

কারণ মনে করা হচ্ছিল কর্মাধ্যক্ষদের ক্ষেত্রে বড় কোনো রদবদল হবে না। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই উল্টে গিয়েছে। রাজ্য নতুন সিদ্ধান্ত জানানোয় নতুন কর্মাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করতে ফের স্থায়ী সমিতির পুনর্গঠন করতে হবে। কৃষি দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নির্মল ঘোষ আসতে পারেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদে। রমাপ্রসাদ গিরি হতে পারেন কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ। অমূল্য মাইতি হতে পারেন খাদ্যের কর্মাধ্যক্ষ। বাতিল হতে পারেন সূর্যকান্ত অট্ট, কাবেরী চট্টোপাধ্যায়, তপন দত্তর মতো কর্মাধ্যক্ষরা। এমনটাই জল্পনা। তবে এখনো সূর্যবাবু পদত্যাগপত্র জমা পড়েনি। দলের তরফ থেকে এমন কোনও নির্দেশ এখনও পাইনি,এমনটাই বক্তব্যে জানালেন তিনি।

এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুরে ঘাসফুলের শক্তি কমছে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে শাসকদলের। জঙ্গলমহল বহুকাল থেকেই তৃনমূলের শক্তিশিবির হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের শক্তিঘাঁটিতে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। পদ্মের উত্থান ঘটেছে শাসকদলের প্রাণকেন্দ্রে। তারপর থেকেই দফায় দফায় এসব এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। এদিন আবার একাধিক স্থায়ী সমিতির সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রীতিমতো চাপে রয়েছেন জেলা সহ রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বরা। কীকরে আগামী নির্বাচনে জঙ্গলমহলে স্বমহিমায় ফেরা যায় তা নিয়েই দলীয় অন্দরেই চলছে ছক কষাকষি,এমনটাই জানা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রের খবরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!