এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার জের, বিজেপির অন্দরের দলীয় কোন্দল ক্রমশ প্রকাশ্যে

মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার জের, বিজেপির অন্দরের দলীয় কোন্দল ক্রমশ প্রকাশ্যে


মোদীজির মেদিনীপুর জনসভা চলাকালীন দর্শকদের অস্থায়ী শামিয়ানা ভেঙে পড়া নিয়ে মতবিরোধ ছিল বিজেপির দলীয় অন্দের। সেই কোন্দল আরো তুঙ্গে উঠল সম্প্রতি। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি গোপন বৈঠক সারেন দলের সাধারণ সম্পাদকদের সাথে। সাংগঠিক আলোচনা ছাড়াও বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘মেদিনীপুর কান্ড’। এই বৈঠকেই কেউ কেউ মেদিনীপুর দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিযোগ তুলে তাঁরা জানিয়েছেন, রাজু নাকি বর্তমানে রাজ্য বিজেপির শাসক ঘনিষ্ঠ। ফলত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও দিলীপ বাবু তাঁর দোষ ঢাকা দিয়ে দেবেন। তবে দিলীপ ঘোষই সাংবাদিকদের সামনে মেদিনীপুর দুর্ঘটনার সমস্ত দায় নিজের উপর নিয়েছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবুও বিতর্ক থেমে থাকছে না সেখানেই। অমিত শাহের পুরুলিয়ার জনসভার মঞ্চের আদলেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে মোদিজীর সভার। দর্শকদের সামিয়ানা তৈরি জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে রাঁচীর এক আয়োজক সংস্থাকে। তার খরচা বাবদ কোটি টাকা বরাদ্দও ছিল। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মোদীজির জনসভার আগে গত ৯ জুলাই বৈঠকে। কিন্তু এরপরই ঘটল পরিবর্তন। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মঞ্চ তৈরির দায়িত্ব দিয়ে দেয় তাঁদের পরিচিত এক ডেকরেটককে।

বিরোধীশিবির থেকে দাবী উঠেছে,দিলীপ বাবু নিজের দলের লোককে আড়াল করছেন। তাই দুর্ঘটনার সমস্ত দায় নিজের কাঁধে নিয়ে তড়িঘড়ি করে তাকে বলতে হয়েছে, বর্ষায় মাটি নরম থাকার কারণেই আচমকাই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। বর্ষায় নাকি তাঁরা আর এ ধরণের সমাবেশ আয়োজন করবেন না। আর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের উপরেও আর নির্ভর করবেন না। নিজেদের স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বাড়িয়েই এ ধরণের মহা জনসভাবেশের আয়োজন করবেন। এই প্রেক্ষিতে বিরোধীরা দাবী জানিয়েছেন যে,মোদীজি নাকি নিজেই বর্ষায় আর বঙ্গ সফরে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে আমজনতাদের মধ্যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, রাজ্য বিজেপি নাকি মূলত তিনটি দলে বিভক্ত বর্তমানে। প্রথমটি শাসক গোষ্ঠীর অন্যতম পরিচালক তথা সংঘ প্রচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। দিল্লির সঙ্গে এর হাত আছে ভালোই। এ কারণে বিজেপিতে ‘বহিরাগত ‘ বলে চিহ্নিত এক নেতা গোপনে বলে থাকেন, বিজেপিতে নেতা আছে একটাই, তিনি সুব্রত বাবু,বাকি সব ‘ল্যাম্পপোস্ট’। তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন সুব্রত-ঘনিষ্ঠ এক নেতা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাহুল সিংহ। বিজেপির দলীয় অন্দরের খবর থেকে জানা গেছে, সাংগঠনিক শক্তিতে দিলীপ বাবুর যত উন্নতি হয়েছে,ততোটাই শক্তি কমেছে রাহুল গোষ্ঠীর। তবে রাহুলবাবুও রাজ্যবিজেপিতে তাঁর অনুগামীদের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চাননি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘নব্য বিজেপি’। জানা গেছে,এঁদের বেশীরভাগই এসেছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে। তবে আরএসএস ঘনিষ্ঠ দলের সঙ্গে এই দলের কার্যত কোনো সখ্যতা নেই। আবার মেদিনীপুর সভাতেও দিলীপবাবুর সঙ্গে এদের দলের এক সদস্যকে জোর তর্ক করতে দেখা গেছিল। সূত্রের খরব, আপাতত মেদিনীপুর কান্ডের পর এই নতুনদের শিবিরেই উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। আপাতত বিজেপির অন্দেরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তীব্র চাপানউতোর চলছে। তবে এই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে বিজেপির দাবি এমন কোনো গোষ্ঠী বিজেপির মধ্যে নেই বিজেপি একটাই দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!