এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিনা অনুমতিতে মিটিং- মিছিল-মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে এবার ইমামদের কড়া বার্তা প্রশাসনের

বিনা অনুমতিতে মিটিং- মিছিল-মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে এবার ইমামদের কড়া বার্তা প্রশাসনের


 

সম্প্রতি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার পর সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে সেদিক থেকে এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত প্রবল বিক্ষোভে ফুসতে শুরু করে।

বিশেষত, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ, মালদার মত জেলাগুলিতে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। যেখানে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও টায়ার পুড়িয়ে রাস্তা অবরোধ, আবার কোথাও স্টেশন ভষ্মিভূত করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। যার ফলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ক্রমশই অবনতি ঘটতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতিবাদ যাতে গণতান্ত্রিকভাবে হয়, তার জন্য বারবার আবেদন জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই আবেদনে কর্ণপাত না করে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ এই ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করে বিরোধীরা। এবার বিনা অনুমতিতে মিটিং-মিছিল, মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইমামদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হল। জানা গেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে উত্তেজনা ছড়ালেও এখনও পর্যন্ত কান্দিতে সেরকম কোনো উত্তেজনার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। তবে যাতে বিক্ষিপ্ত কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক জেলা প্রশাসন।

সূত্রের খবর, সোমবার সকালে কান্দি মহকুমা শাসকের অফিসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রায় 60 জন ইমামকে। ঘন্টা দুয়েক ধরে চলা সেই সভায় শেষে জানানো হয় যে, সিএবি নিয়ে এলাকায় কোনো উত্তেজনা নেই। তবে ইমামদের এদিনের সভা থেকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে কোথাও মিটিং মিছিল করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি মিছিল শুরু থেকে শেষ পয়েন্ট ধারণ করে তার রুটম্যাপ পুলিশকে দিতে হবে ইমামদের। শুধু তাই নয়, কি ব্যাপারে অনুষ্ঠান হবে, তার ড্রাফটিংও প্রশাসনকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর প্রশাসনের নির্দেশ যদি কেউ অমান্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কান্দির প্রশাসন। আর হঠাৎ ইমামদের মিটিং-মিছিলের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এহেন নির্দেশিকায় এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের জেরে বর্তমানে উত্তাল হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা। সেদিক থেকে সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা যাতে শান্ত থাকেন, তার জন্য ইমামদের নির্দেশিকা দিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে রাখতে চাইছে প্রশাসন। এদিন এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক অভীককুমার দাস বলেন, “মহকুমা এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তবে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য এখন থেকে কোনো মিটিং, মিছিল, মাইকিং করতে গেলে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ সবাইকে জানানো হয়েছে।” তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইমামদের ব্যাপারে বিনা অনুমতিতে মিটিং, মিছিল মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকা দিলেও, ইমামরা প্রশাসনের সেই নির্দেশ মেনে চলেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!