24 ঘন্টার মধ্যে দলত্যাগ মেহতাবের! কারণ নিয়ে মুখ খুলে জল্পনা বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ! কলকাতা রাজ্য July 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশে যখন বিজেপিকে কড়া ভাষায় বহন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে হেভিওয়েট যোগদান অনুষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টিতে। নানা মহলে আলোচনা তৈরি হয়েছিল, একুশে জুলাই তৃণমূলের বিরাট যোগদান হবে। কিন্তু তা হতে দেখা যায়নি। উল্টে বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিতে দেখা যায় বিশিষ্ট ফুটবলার মেহতাব হোসেনকে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় কিছুটা হলেও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যেই সেই মেহতাব হোসেন। যার ফলে ব্যাপকভাবে চাপে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়, মেহতাব হোসেন এযাবতকালের শ্রেষ্ঠ গোল দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বিজেপিতে যে থাকা সত্যিই অসম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। আর এই গোটা ঘটনায় যখন বিজেপি চরমভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে, ঠিক তখনই কেন মেহতাব হোসেন দল ছাড়লেন, তা নিয়ে মুখ খুলে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগ তুলতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন 24 ঘন্টার মধ্যে দল ত্যাগ করলেন তিনি? এতে কি বিজেপি চমক দিয়েও আরও ব্যাকফুটে চলে গেল না? এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “তৃণমূল ওর ওপর চাপ দিচ্ছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ভয় দেখিয়ে ওকে বিজেপি ছাড়ানো হচ্ছে এবং অন্য দলে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই তো রাজ্যের গণতন্ত্রের চেহারা।” একইভাবে এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই ঘটনাতেই প্রমাণিত যে, বাংলার কি অবস্থা।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশিষ্ট ফুটবলার মেহতাব হোসেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যে যেভাবে বিজেপি ত্যাগ করলেন, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয় তুলে ধরে বিজেপিকে আরও কোণঠাসা করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে মেহতাব হোসেনের দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তৃণমূলকেই সবথেকে বেশি দোষারোপ করলেন বিজেপি নেতারা। এখন বিজেপির এই দাবী কতটা সত্যি বলে প্রমাণিত হয় এবং গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে একথা বলার পর তৃনমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা কিছু বলা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -