এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > WB Opinion Poll 2021: মেখলিগঞ্জে কি এবার গেরুয়া ঝড়? নাকি স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘাসফুলের?

WB Opinion Poll 2021: মেখলিগঞ্জে কি এবার গেরুয়া ঝড়? নাকি স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘাসফুলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহার জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র মেখলিগঞ্জ। কথায় আছে, মদনমোহনের আশীর্বাদ যে রাজনৈতিক দলের দিকে থাকে, তারাই কোচবিহারে শেষ হাসি হাসে। তবে 2011 সাল পর্যন্ত এই মেখলিগঞ্জ বিধানসভার ক্ষেত্রে ভগবানের আশীর্বাদ ছিল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিংহ প্রতীকের প্রার্থীর দিকেই। 1951 সালে বিধানসভা নির্বাচনের এখানে জয়লাভ করেন কংগ্রেসের প্রার্থী সত্যেন্দ্র প্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়।

পরবর্তীতে 1957 সালেও জয়লাভ করেন তিনি। আর তারপর থেকেই এই মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র চলে যায় বামফ্রন্টের শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে। অমর রায় প্রধান থেকে শুরু করে মিহির রায়, মধুসূদন রায় থেকে শুরু করে সদাকান্ত রায়, পরবর্তীতে পরেশ চন্দ্র অধিকারী মত ব্যক্তিরা 2011 সাল পর্যন্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে এখানে জয়লাভ করতে থাকেন। আর এরপরই 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত অমর রায় প্রধানের পুত্র অর্ঘ্য রায় প্রধান।

আর এরপর থেকেই তৃণমূলের জয়ের পথ এখানে প্রশস্ত হতে শুরু করে। অর্থাৎ এককালে বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই মেখলিগঞ্জ বিধানসভায় গত 2016 সাল থেকে খাতা খুলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কি হবে আগামী 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে? সত্যিই কি এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর জয়লাভ নিশ্চিত হবে! নাকি ফুল ফোটাবে পদ্ম শিবির! এখন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পেয়েছিলেন 41.45 শতাংশ ভোট। যেখানে বিজেপি পেয়েছিল 12.91 শতাংশ ভোট এবং বামফ্রন্ট পেয়েছিল 37.68 শতাংশ ভোট। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিধানসভায় তৃণমূল ভালো ফল করলেও গত 2019 এর লোকসভায় এই বিধানসভা কেন্দ্রে খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি শাসকদল। যেখানে তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এই মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কোচবিহার জেলার অন্তর্গত হলেও, সমীকরণের দিক থেকে তা জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যেখানে গত লোকসভায় এই মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল 43.61 শতাংশ ভোট এবং বিজেপি পেয়েছিল 46.10 শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বামফ্রন্ট পেয়েছিল 4.31 শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বামেদের শক্তঘাঁটি হিসেবে মেখলিগঞ্জ থাকলেও এখন সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে।

লোকসভায় বিজেপি এখানে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে পিছনের সারিতে ফেলে দিয়েছে, তাতে আদৌ এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আগামী দিনে জয় ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা, তা বড় সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবার এই মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। এতদিন এই কেন্দ্র বামেদের দখলে ছিল। 2011 সালেও এখানে জয়লাভ করেছিলেন বামফ্রন্টের পরেশ অধিকারী।

তবে সেই পরেশবাবু এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করতে না পারলেও, দল এখনও পর্যন্ত তার ওপর ভরসা রেখেছে। তাই একদিকে মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান এবং অন্যদিকে এখানকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পরেশ অধিকারী দলের নির্বাচনী বৈতরণী পার করাতে নিজেদের শক্তি নিয়ে আদৌ দলকে জেতাতে পারেন কিনা, তা অবশ্যই নজর কাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে।

অনেকে আবার বলছেন, এই কেন্দ্রে বিজেপি আরও বেশি করে ফায়দা নিতে পারে। কারণ পরেশবাবু এবং অর্ঘ্য রায় প্রধান দুজনই আশা করে আছেন, তারা দলের প্রার্থী হবেন। তাই শেষ পর্যন্ত টিকিট না পেয়ে যদি কোনো নেতা অন্তর্ঘাতের সৃষ্টি করেন, তাহলে তৃণমূলের সমস্যা তৃণমূলের কর্মীরাই ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফাঁক তালে দাও মারতে পারি গেরুয়া শিবির বলে মত একাংশের।

সব মিলিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি হয়, কার দখলে থাকে মেখলিগঞ্জ বিধানসভা, তার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য লক্ষ্য রাখুন প্রিয়বন্ধু বাংলায়। খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে আমরা নিয়ে আসব আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ওপিনিয়ন পোল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!