এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > ‘মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব’- বিজেপি সাংসদের এই হুমকির জেরে দিনভর রাজনৈতিক আলোড়ন রাজ্যে

‘মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব’- বিজেপি সাংসদের এই হুমকির জেরে দিনভর রাজনৈতিক আলোড়ন রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ক্রমাগত একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী শিবির তৃণমূল এবং বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে বেশিরভাগ নেতা-নেত্রীরা ক্রমাগত কটাক্ষ, হুমকি দিয়ে চলে তৃণমূল শিবিরকে। তৃণমূলও পিছিয়ে থাকার নয়। তাঁদের পক্ষ থেকেও যথারীতি বাক্যবাণ নিক্ষেপ হয়। তবে সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সোজাসুজি আসানসোলের মেয়রকে মেরে চামড়া গুটিয়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন।

আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা। কিছুদিন আগেই আসানসোল পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল বিজেপি। সেই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই বিক্ষোভ অভিযান থেকেই আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তিনি দিলেন চরম হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে ভুয়ো পোস্ট কান্ডে আজ গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে ইতিমধ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিজেপি নেতারা।

সেই সূত্রে তাঁরা আসানসোল পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে ধরনা দেয় বলে জানা গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই ভুয়ো পোস্ট নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ভুয়ো খবর ছড়ানোর। এবার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় একটি বিভেদমূলক পোস্ট শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সে কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আসানসোল পুরনিগমের সাইনবোর্ডের একটি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলা থাকা সত্বেও বাংলার অংশটিকে বাদ দিয়ে শুধু উর্দু, হিন্দি এবং ইংরেজিতে আসানসোল পুরনিগম লেখা ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এবং সেখান থেকে ক্রমাগত তৃণমূলকে কটাক্ষ করে নিচে লেখা চলেছে, ‘বাংলা ছেড়ে উর্দু প্রেম।’ ঘটনাটি নজরে আসার সাথে সাথেই আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ জানায়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হাতে। কিন্তু বাপ্পা চাত্বপাধ্যায়ের গ্রেফতারের সাথে সাথেই আগুন জ্বলে ওঠে আসানসোলের গেরুয়া শিবিরে।

আসানসোল পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে ধরনা দিতে বসেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সমেত বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সময় বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয় এলাকায় এবং সেখান থেকে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁ এই ঘটনার প্রতিবাদে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র নামেও ভুয়ো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে আছে। সেক্ষেত্রে কখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়না বলে দাবী বিজেপির। কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার জন্য সব সময় কিছু না কিছু কারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাঁদের।

তবে সৌমিত্র খাঁকে গ্রেপ্তারের পর যুব মোর্চার সদস্যরা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এই ভুয়ো পোষ্ট কান্কে ঘিরে ইতিমধ্যেই বাংলার রাজনৈতিক মহল জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। দীর্ঘদিন ধরে যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে, আসানসোলের ঘটনার সাথে সাথে এই দ্বন্দ্ব বহুগুণে বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপরন্তু এবার সরাসরি বিজেপির হেভিওয়েট নেতা ধরা পড়ায় তৃণমূল শিবির যথেষ্ট জোর পেয়েছে তাদের অভিযোগ প্রমাণে। তবে আপাতত এই ভুয়ো পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক জল যে অনেকদূর গড়াবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!