এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মেরুকরণের সঙ্গে কি মিশিয়ে একাকার লাশের রাজনীতি? চর্চা শুরু

মেরুকরণের সঙ্গে কি মিশিয়ে একাকার লাশের রাজনীতি? চর্চা শুরু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় এই মেরুকরনের রাজনীতির মধ্যে দিয়েই উত্তাপ শুরু হয়েছিল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের। বর্তমানে চার দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। তবে একদিকে মেরুকরণ এবং অন্যদিকে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে তৃণমূল এবং বিজেপি দল একে অপরের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে তৃণমূল এবং বিজেপিকে চাপে রাখতে বাম, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দলের পক্ষ থেকে নয়া সমীকরণ তৈরি করেছে।

কিন্তু একের পর এক দফা যত এগিয়েছে, ততই ভয়ংকরভাবে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রকট হিসেবে দেখা দিতে শুরু করেছে মেরুকরণের রাজনীতি। যেখানে হিন্দু, মুসলিম ভোটব্যাংকে নিজেদের দিকে রাখতে শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করে তুলতে শুরু করেছে। তবে মেরুকরণের রাজনীতি যখন প্রকট হিসেবে দেখা দিতে শুরু করেছে বাংলায়, তখন তার মধ্যেই প্রাসঙ্গিকতা পেয়েছে লাশের রাজনীতি।

চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে 4 জনের মৃত্যু এবং তার আগে রাজনৈতিক হিংসায় আরও একজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের সময় একদিকে মেরুকরণ এবং অন্যদিকে লাশের রাজনীতি নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই শাসক থেকে বিরোধী দুই রাজনৈতিক দল এই মৃত্যুর কারণে একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিজেপি ব্যবহার করছে। আর সেই কারণেই চারজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা এই ব্যাপারে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে চারজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ মারা গিয়েছেন, তাদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিক হলেও, হিন্দু রাজবংশী আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিন্দুমাত্র আন্তরিক নন।

স্বাভাবিক ভাবেই লাশের রাজনীতি নিয়ে যখন টালমাটাল বাংলা, ঠিকর তখনই মেরুকরণের রাজনীতিও প্রকটভাবে দেখা দিতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এখনও পর্যন্ত চার দফায় নির্বাচন বাকি রয়েছে। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বেশকিছু সংখ্যালঘু আসনে ভোট রয়েছে। তাই পরবর্তী দফাগুলিতে এই মেরুকরণের রাজনীতি আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে।

একাংশের মতে, আগামী চার দফায় মেরুকরণের রাজনীতি তীব্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদেরকে হাতিয়ার করে সরব হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলো। এক্ষেত্রে একে অন্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মেরুকরণের দিকটি যেমন তুলে ধরতে পারে, ঠিক তেমনই প্রাসঙ্গিকতা পেতে পারে লাশের রাজনীতির প্রসঙ্গ।

স্বাভাবিক ভাবেই আগামী চার দফার নির্বাচনে বাংলার রাজনৈতিক হাওয়া যে অত্যন্ত উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে ভোটের আবহে মেরুকরণ ও লাশের রাজনীতি যে সকল রাজনৈতিক দলের কাছেই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!