সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতেই মেটিয়াবুরুজ অপহরণের ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ খবর রাজ্য April 18, 2018 গত কয়েকমাস যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেছে। যে পোস্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল – গত বছর জুন মাসে কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মী বিনোদ দাস গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ করেন তাঁর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে অপহৃত হয়েছে। তিনি অপহরণের অভিযোগ আনেন স্থানীয় এক যুবক মিন্টু এবং তার বাবা কোরবান আলির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও দীর্ঘদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি অভিযোগে এরপরে সরাসরি লালবাজারে যান বিনোদবাবু। কিন্তু সেখানেও কোনো সুরাহা না পেয়ে তিনি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন, বিনোদবাবুর আইনজীবী অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট করে ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। মেয়েটিকে সেখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে একথা বারবার পুলিশকে জানানোর পরেও দীর্ঘ আট মাসে কোনও প্রতিকার মেলেনি। মেটিয়াবুরুজ এলাকায় অভিযান চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সোশ্যাল মিডিয়ার সেই পোস্টে আরো লেখা ছিল – এই সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাককে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। কিন্তু অভিযুক্তদের হেফাজত থেকে অপহৃত ওই কিশোরীকে অবিলম্বে উদ্ধার করার নির্দেশ দেয় আদালত। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(ক্রাইম)-এর নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে অভিযান চালিয়ে বিনোদবাবুর মেয়েকে উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। কিন্তু তারপরেও মাস দুয়েক কেটে গেলেও এখনও বিনোদবাবুর মেয়ে উদ্ধার হয় নি বলেই অভিযোগ। এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু গতকাল লালবাজারের পক্ষ থেকে যুগ্ম কমিশনার(অপরাধ) নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বার্তা দিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা গুজব ছড়ান হচ্ছে যে মেটিয়াবুরুজ এলাকায় একটি মেয়েকে অপহরণ করে রাখা হয়েছে এবং সেই সকল এলাকায় পুলিশ অভিযান আলাতে পারছে না। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতেই এই ধরনের পোস্ট করা হচ্ছে। যারা এই সকল কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনার মতামত জানান -