এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মেয়াদ ফুরোনো পুরবোর্ডের দখল কার হাতে? তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কের লড়াইয়ে পড়ছে বোমা?

মেয়াদ ফুরোনো পুরবোর্ডের দখল কার হাতে? তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কের লড়াইয়ে পড়ছে বোমা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ক্ষমতা দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই নেতা ও জনপ্রতিনিধির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিভিন্ন জেলাতেই রয়েছে। যা অস্বস্তিতে ফেলে শাসক দলকে। বারবার দলের তরফে সতর্ক করা হলেও, অবস্থার কোনো উন্নতি হতে দেখা যায় না। আর এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীবাজিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে শান্তিপুরে বোমাবাজি হতেও দেখা গেল। পৌরসভা ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলেই এই বোমাবাজি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, সম্প্রতি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর শান্তিপুর পৌরসভার পৌরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী দিনে এই পৌরসভার কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে বর্তমান বনাম প্রাক্তন বিধায়কের মধ্যে শুরু হয়েছে বিবাদ। জানা গেছে, শান্তিপুর কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনোজ সরকার আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি শান্তিপুর শহরে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন।

এদিকে তিনি শহরে ঢোকার পর থেকেই নতুন করে তার প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাতে আপত্তি জানাতে শুরু করেন তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের অনুগামীরা। আর তার ফলেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার এই গন্ডগোল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই বোমাবাজি বলে মনে করছে একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই মনোজ সরকার। কিন্তু বিগত পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের হয়েই তিনি কাজ করেছিলেন। তবে সেই সময় এক বিজেপি কর্মীকে খুন ও এক বিজেপি সমর্থক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মনোজ সরকারের বিরুদ্ধে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশেষে 84 দিন জেল খাটার পর মুক্তি পান মনোজ সরকার। এর পরেই আগস্ট মাসে শর্তসাপেক্ষে আদালতের পক্ষ থেকে তাকে শান্তিপুরে ঢোকার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর আদালতের পক্ষ থেকে শহরে ঢোকার অনুমতি পেয়ে মনোজ সরকার নিজের মত করে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে দিয়েছেন। আর তাতেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের অনুগামীরা। জানা যায়, এখন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই মনোজ সরকার। স্বাভাবিকভাবেই মনোজ সরকারকে নিয়ে এখন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এবং বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন এই বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে এলাকা যেমন উত্তপ্ত হয়েছে, ঠিক তেমনই এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মনোজ সরকার বলেন, “এলাকা দখল করতেই বিধায়ক তার লোকজন দিয়ে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। পৌরসভা ভোটে শান্তিপুরের মানুষ এর জবাব দেবেন।”

অন্যদিকে এমন কোনো বোমাবাজির ঘটনা তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তবে যারা অশান্তি করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হবে বলে জানান প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অজয় দে। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, গোটা ঘটনায় মনোজ সরকার বর্তমান বিধায়কের দিকে অভিযোগ তুললেও, তার সাথে প্রাক্তন বিধায়ক এর যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই যে প্রাক্তন বনাম বর্তমান বিধায়কের মধ্যে শান্তিপুরের এই গন্ডগোল চরম আকার ধারণ করেছে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে তৃণমূলের এই গণ্ডগোলে যদি সাধারন মানুষের শান্তিতে প্রভাব পড়ে, তাহলে নিঃসন্দেহে শাসক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!