এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মেয়েদের আত্মরক্ষার উপায় বাতলে বড়সড় বিতর্কের মুখে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র, জেনে নিন !

মেয়েদের আত্মরক্ষার উপায় বাতলে বড়সড় বিতর্কের মুখে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র, জেনে নিন !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনা নিয়ে উত্তাল সারাদেশ। তারই ছোঁয়া এসে পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে এদিন হাথরসের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সরাসরি মেয়েদের আত্মরক্ষার উপায় নিয়ে সরব হলেন এবং আত্মরক্ষার উপায়ও বাতলে দিলেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলার প্রত্যেক মেয়ের বর্তমানে ত্রিশূল বা চেলাকাঠ ঘরে রাখার প্রয়োজন। প্রয়োজনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে সন্ত্রাসের আগে তৃণমূলের নাম বসিয়ে তিনি বলেছেন।

পাশাপাশি এদিন বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লকের টাকি থুবার মোড় থেকে বাংলার যুবসমাজকে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। কৃষি বিলের সমর্থনে এবং আগামী 8 ই অক্টোবর নবান্ন অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লকের টাকি থুবার মোড় থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মিছিল করল রাজ্য বিজেপি। এই মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, তরুণজ্যোতি তেওয়ারি এবং সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সৌমিত্র খাঁ এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। একযোগে তিনি প্রত্যেককে তৃণমূল কংগ্রেসের দাদাগিরির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য য়াহবান জানান বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এদিন সৌমিত্র খাঁ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে বলেন, তিনি সহ তৃণমূলের বহু নেতা মন্ত্রী বিজেপিতে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। আর এই কথাতেই শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য। সামনেই আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সেই সূত্রে প্রচার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিজেপির। এদিন সৌমিত্র খাঁ স্পষ্ট করে বলে দেন, বিজেপিকে একবার রাজ্যবাসী সুযোগ দিলে তাঁরা মানুষের স্বার্থে, মানুষের জন্য কাজ করবে। পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন, এ রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করছে তৃণমূল।

তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেই বিজেপি পথে নেমেছে। উপরন্তু তিনি তৃণমূল সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, কৃষকের পাওনা টাকা মেরে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতার ঝাঁজ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনের অজুহাতে এবার রাজনৈতিক দলগুলির তরজা আরো পরিস্ফুট হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একুশের বিধানসভার নির্বাচনী লড়াই বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেক্ষেত্রে তৃণমূল এবং বিজেপির কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের লড়াই এটি বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত নজর থাকবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!