এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেয়রের চেয়ারে কি এবার কোন হেভিওয়েট মন্ত্রী? তৃণমূল নেত্রীর পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা

মেয়রের চেয়ারে কি এবার কোন হেভিওয়েট মন্ত্রী? তৃণমূল নেত্রীর পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা


মঙ্গলবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই মেয়র পদেও তাঁর ইস্তফা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে মন্ত্রীপদ খোয়াতে হল তাঁর। রাজনীতির ময়দানে তাঁর ইনিংস কি চিরতরে শেষ হয়ে গেল?

তাঁর যায়গায় নতুন কোন হেভিওয়েট নেতাকে আনতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই দুটি প্রশ্নকে ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যরাজনীতির অন্দরে। তবে উল্লেখ্য,শোভন চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব থেকে সরার আগে কলকাতা পুরসভায় জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে মেয়র নির্বাচন নিয়ে। নতুন মেয়র কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বহুদিন আগে থাকেই। সেই জল্পনায় আরো একটু ইন্ধন যোগ হল এদিনের ঘটনার পর।

পরবর্তী মেয়র পদের জন্যে ভাসছে দুটি নাম।  সুব্রত মুখার্জী, এবং ফিরহাদ হাকিম। দুজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন।সুব্রত মুখার্জী, বর্ষীয়ান নেতা। একসময় মেয়রের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এখনো যেকোনো প্রশাসনিক সমস্যা হলে নেত্রী সুব্রত বাবুর সঙ্গেই আলোচনা করেন। নেত্রীর ‘রাজনৈতিক গুরু’ হিসাবেও পরিচিত আছে সুব্রত মুখার্জীর।

বর্তমানে তিনি পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দায়িত্বটি সামলাচ্ছেন। তবে মেয়ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বর্তমানে এই মন্ত্রীই নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতার গুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় হয়েছেন। বর্তমানে তিনিই নেত্রীর সবথেকে বেশি আস্থাভাজন,একথা তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়। তবে সুব্রত মুখার্জী বহু পুরানো খিলাড়ী।

তাকে নিয়ে দ্বন্দ্বের কোনো কারণই থাকতে পারে না। তবে এই তালিকায় মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও অতীন ঘোষ এবল মালা রায়ের নাম নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে পুর আইনে বদলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেই জল্পনা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সুব্রত বা ফিরহাদের মেয়র হওয়ার পথে বাঁধ সাধছিল আইন। বর্তমান পুর আইন অনুযায়ী,কাউন্সিলর না হলে মেয়র বা মহানাগরিক হওয়া যাবে না। তবে এই আইনে সংশোধনী এনে মন্ত্রীদের মেয়র হওয়ার পথে কাঁটা দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যসরকার। এদিন বিধানসভার পুরআইন সংশোধনী বিল পেশ করেছে রাজ্যসরকার। বিল পাশ হলেই তা পৌছে যাবে রাজ্যপালের দপ্তরে।

রাজ্যপালের সবুজ সংকেত পেলেই আইন অনুমোদিত হয়ে যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ থেকে এটা স্পষ্ট যে কোনো একজন মন্ত্রীকেই মেয়রের দায়িত্বে আনতে চাইছেন নেত্রী। এরজন্য ‘উত্তীর্ণ’ সভাঘরে কোলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বাসের এবং স্নেহের পাত্র ছিলেন শোভনবাবু। এতটাই আপন ছিলেন যে পরিবেশ, আবাসন ও দমকল এই তিনটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেত্রী তাকে । শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন কলকাতার মেয়র এবং তৃণমূলের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সভাপতিও। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের ছাপ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে পড়ে। যা নিয়ে তাকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের শিকার হতে হয়েছে বহুবার।

কিন্তু তবুও নিজের প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়ে অবহেলা অব্যাহত ছিল তাঁর,এমনটাই অভিযোগ বারবার ওঠায় এদিন ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে নেত্রীর।মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করার পর মুখ্যমন্ত্রীর ধৈর্যচ্যুতি হয়। পরে নবান্নে একটি অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে শোভনবাবুকে তিরস্কার করে পদত্যাগ করতে বলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ গৃহীত হয়েও হয়ে যায়।

এরপর মেয়র পদ থেকেও তাকে ইস্তফা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ হয়তো ইস্তফা দিতে পারেন শোভন বাবু। তবে সশরীরে না এসে দূত মারফত বা ইমেলে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিতে পারেন। তবে একান্তই যদি তিনি ইস্তফা না দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনারও পরিকল্পনা করেছে নবান্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!