এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মিছিল-দলবদলের বড়সড় কর্মসূচির পরই ধরা পড়ল হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা করোনা পজেটিভ! উড়েছে ঘুম

মিছিল-দলবদলের বড়সড় কর্মসূচির পরই ধরা পড়ল হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা করোনা পজেটিভ! উড়েছে ঘুম

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে বারবার করে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসকে আটকানোর একমাত্র ওষুধ দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের তৎপরতা, তাদের মিটিং-মিছিল সংক্রমণকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাংশ। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষরা যেমন করানো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, ঠিক তেমনই আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। এমত পরিস্থিতিতে এবার টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি করার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন কোচবিহার জেলা পরিষদের তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ এবং তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে এই দম্পতি তাদের টেস্ট করান। আর সেখানেই করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। যার পরেই আব্দুল জলিল আহমেদ শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বর্তমানে তার স্ত্রী হোম আইসোলেশন রয়েছেন। আর কিছুদিন আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এই নেতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

একাংশ বলছেন, গত মঙ্গলবার কোচবিহারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মিছিল হয়। এরপর জেলা তৃণমূল পাটি অফিসে দলবদলের একটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন এই আব্দুল জলিল আহমেদ‌। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় সহ জেলার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ফলে এবার আব্দুল জলিল আহমেদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসতেই অন্যান্য নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এভাবেই যদি ধীরে ধীরে অন্যান্য নেতাদের শরীরেও করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধতে শুরু করে, তাহলে কোচবিহারে আবার তা সংক্রমিত হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে কেমন আছেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে. তবে আমি ভালো আছি। জ্বর, মাথাব্যথা নেই। নিউমোনিয়ার একটা সমস্যা রয়েছে। সেই কারনে নার্সিংহোমে রয়েছি।”
কিন্তু যেভাবে এই তৃণমূল নেতা গত বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সাথে একসাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন এবং তারপর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, তাতে তো এখন সেই নেতার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেরই হোম আইসোলেশনে চলে যাওয়া উচিত !

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বুধবার বিকেলে বিষয়টি জানতে পারি। দিন কয়েকের জন্য আমি হোম আইসোলেশনে থাকব। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের কর্মসূচির বাইরে থাকব।” একইভাবে আব্দুল জলিল আহমেদের স্ত্রী আমিনা আহমেদ কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হওয়ায় এই ব্যাপারে সচেতনতা পালন করছেন কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং। তিনি বলেন, “আমাদের বোর্ড সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন মিছিলগুলো যেভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে হওয়ার কথা, সেভাবে হচ্ছে না। এখন অনলাইনের মাধ্যমে সব ধরনের বার্তা দেওয়া দরকার। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলেরই নমুনা টেস্ট করানো উচিত।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি সকলের মেনে চলা উচিত। এসব না মানলে করোনা দ্রুত ছড়াবে। আক্রান্তদের সঙ্গে যারা ঘুরেছেন, তাদের নির্দিষ্ট সময় কাল বাড়িতে থাকা উচিত।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার করে বলা হচ্ছে, সকলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। কিন্তু তা না করে যেভাবে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা মিটিং-মিছিলে যাচ্ছেন এবং তার ফলে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করছে এবং যার জেরে তার সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেককেই চলে যেতে হচ্ছে হোম আইসোলেশনে। কিন্তু যদি এক নেতা সংক্রমিত হওয়ার পর অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে থাকার পরেও, নিজেদের হোম আইসোলেশনে না রাখেন, সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস আরও বাড়তে শুরু করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এখন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের এই ব্যাপারে কিছুটা সচেতনতা অবলম্বনের অনুরোধ করছেন সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!