মিছিলে তৃণমূলের কোনো প্রতীক না থাকলেও সূচনা এবং সমাপ্তিস্থলে পতাকা এবং ব্যানার, শুভেন্দুকে নিয়ে ফের জল্পনা তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য November 25, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি বিভিন্ন সভা সমিতিতে তিনি উপস্থিত থাকলেও রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হওয়া সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃনমূলের কোনো প্রতীক শুভেন্দু অধিকারীর সভাতে এতদিন দেখা যায়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। আর এবার খেজুরিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে তৃণমূলের কোনো পতাকা বা কোনো প্রতীক দেখা না গেলেও মিছিলের শুরুতে এবং শেষে চোখে পড়ল তৃণমূলের পতাকা এবং ব্যানার। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব কি তাহলে মিটতে শুরু করল, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। বস্তুত, এদিন খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবসে শুভেন্দু অধিকারী একটি মিছিল করেন। তবে এই মিছিলে তৃণমূলের কোনো পতাকা দেখা যায়নি। তবে মিছিলের শুরুতে এবং শেষে সেই তৃণমূলের পতাকা চোখে পড়ায় অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব প্রায় মেটার পথে। একাংশের মতে, এতদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তখন কোনো সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের প্রতীক দেখা যায়নি। কিন্তু এদিনের মিছিলে তৃণমূলের কোনো চিহ্ন না থাকলেও শুরুতে এবং শেষে তৃণমূলের প্রতীক থাকায় কার্যত একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিই আস্থা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর এখানেই অনেকে বলছেন, তাহলে কি সৌগত রায়ের আলোচনা সফলতা পেল! আর তাই নন্দীগ্রাম দিবসে কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী দলের ফেস্টুন নিজের কাছে না রাখলেও, খেজুরিতে সেই ফ্লেক্স ফেস্টুন রেখে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি দলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করছেন! জানা গেছে, মঙ্গলবার খেজুরির বাঁশগোড়া থেকে কামারদা পর্যন্ত মিছিলে হাটেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মিছিলে শুধু কালো পতাকা এবং কালো কালিতে লেখা ব্যানার ছিল। পাশাপাশি ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে খেজুরি মুক্ত দিবস লেখা ছিল। আর মিছিলের যাত্রা পথে রাস্তার দু’পাশে দেখা যায় তৃণমূলের অজস্র পতাকা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে অনেক ফেস্টুন এবং কাট আউট চোখে পড়ে। আর তার ফলে কার্যত প্রমাণ হয়ে যায় যে, দলের সঙ্গে হয়ত এবার দূরত্ব মিটতে শুরু করেছে শুভেন্দু অধিকারীর! আর তাই মিছিলের যাত্রাপথে তৃণমূলের প্রতীকের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখা গেল বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাহলে কি সমস্যার সমাধান হল? দলের সঙ্গে দূরত্ব মিটে গেল শুভেন্দু অধিকারীর? এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মন্ডল বলেন, “শুভেন্দু তৃণমূলের নেতা। তাঁর নির্দেশ মত সভামঞ্চে বা মিছিলে কোথাও দলীয় ব্যানার বা পতাকা লাগানো হয়নি। তবে এদিনের কর্মসূচি তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি। তাই রাস্তায় নেত্রী এবং নেতার ছবি দিয়ে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই।” অর্থাৎ এতদিন শুভেন্দুবাবু নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বা আচরণের মধ্য দিয়ে জল্পনা তৈরি করলেও, এদিনের ঘটনার মধ্যে দিয়ে কার্যত পরিষ্কার যে, এখনও তৃনমূল কংগ্রেসের প্রতি আনুগত্য রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। তবে তাকে নিয়ে যে মহলের তরফে যে কথাই বলা হোক না কেন, তিনি কিন্তু কিছুদিন আগেই রামনগরের সভা থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। কিন্তু তার পরেও তার নানা আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু খেজুরির এই কর্মসূচিতে মিছিলের যাত্রাপথে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি চোখে পড়ল এবং তৃণমূলের প্রতীক দেখা গেল, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, শুভেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। তবে কিছুদিন আগে পর্যন্ত তার কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোনো চিহ্ন না থাকলেও, এদিনের কর্মসূচিতে শাসকদলের চিহ্ন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকায় কার্যত স্পষ্টড় এবার ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে দূরত্ব হয়ত বা মিটে যেতে চলেছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -