এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগস্টের শেষ সপ্তাহ জুড়ে মিড ডে মিল নিয়ে বড়সড় কর্মসূচি রাজ্য সরকারের – জানুন বিস্তারিত

আগস্টের শেষ সপ্তাহ জুড়ে মিড ডে মিল নিয়ে বড়সড় কর্মসূচি রাজ্য সরকারের – জানুন বিস্তারিত

অবশেষে মিড ডে মিল নিয়ে কড়া অবস্থান নিল রাজ্য। সূত্রের খবর, আগামী 24 আগস্ট থেকে 31 আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্পে ম্যারাথন চেকিং করার জন্য স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে চিঠি পাঠালেন।

জানা গেছে, সপ্তাহের ছুটির দিন রবিবার ছাড়া গোটা সপ্তাহজুড়েই এই কর্মসূচিতে এডুকেশন সুপারভাইজার এবং শিক্ষাবন্ধুরা অংশ নেবেন। যেখানে স্কুলে ভিজিট করবার সময় 16 দফার একটি প্রশ্নমালা সঙ্গে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত এসএসকে, এমএসকে, মাদ্রাসা এবং স্কুলের মত প্রতিষ্ঠানগুলিতে মিড ডে মিলের খাবার ঠিকমত হচ্ছে কিনা, তা সরোজমিনে দেখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, গত 19 আগস্ট মিড ডে মিলে শুধুমাত্র নুন ভাত দিতে দেখা গিয়েছিল হুগলি চুঁচুড়া বালিকা বানীমন্দিরের পড়ুয়াদের। আর এরপর সেই স্কুলে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এলে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়ে রাজ্যের শাসক দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গটি তুলে ধরে মিড ডে মিলে যাতে আরও বেশি করে নজরদারি চালানো যায়, তার নির্দেশ দিতেও বাধ্য হন। আর প্রশাসনিক প্রধানের এই নির্দেশের পরই গত 22 আগস্ট পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক শেখর সেন এক নির্দেশিকা জারি করে সপ্তাহের কোন দিন মিড ডে মিলে কি খাওয়ার থাকবে, তা জানিয়ে দেন।

যেখানে দেখা যায়, সোমবার ভাত, ডাল, আলু সবজি তরকারি, চাটনি, মঙ্গলবার ভাত, ডাল, ডিম বা মাছের কারি, চাটনি, বুধবার ভাত, ডাল, বিভিন্ন রকম সবজি তরকারি, বৃহস্পতিবার ভাত, সবজি, ডিম বা মাছের কারি, শুক্রবার ভাত, ডাল, আলুপোস্ত এবং শনিবার ভাত, ডাল, আলু সোয়াবিনের তরকারি রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তালিকা করে দেওয়া হলেও তা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশকে তিতিবিরক্ত হতে দেখা গেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক স্বপন ভৌমিক বলেন, “মিড ডে মিলে একজন পড়ুয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়, তা দিয়ে প্রশাসনের অর্ডার অনুযায়ী মেনু দেওয়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।”

তবে শিক্ষকদের একাংশ এই ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হলেও যেভাবে প্রশাসনের শীর্ষ থেকে এবার জেলাশাসকদের কাছে সেই মিড ডে মিলের ব্যাপারে স্কুলগুলিতে ভিজিট করার নির্দেশ আসছে, তাতে সেই স্কুলগুলি যদি ঠিকঠাকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মিড ডে মিল না দেয়, তাহলে তাদের ঘাড়ে যে বড়সড় কোপ পড়তে পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!