এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মিড ডে মিল পরিদর্শনে বিস্ফোরক তথ্য! খোদ তৃনমূল কাউন্সিলারের স্কুলেই একাধিক অনিয়ম!

মিড ডে মিল পরিদর্শনে বিস্ফোরক তথ্য! খোদ তৃনমূল কাউন্সিলারের স্কুলেই একাধিক অনিয়ম!


সম্প্রতি রাজ্যের একটি স্কুলে মিড ডে মিলে নুন ভাত দেওয়ার ঘটনায় তীব্র আলোড়ন পড়ে যায়। আর তারপরই সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু এবার মিড ডে মিলের বিতর্কের মাঝেই ফের আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আসতে শুরু করল।

জানা যায়, বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলররা স্কুলের শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও খড়্গপুরের রবীন্দ্রপল্লী জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল প্রায় বন্ধ রয়েছে। বস্তুত, মিড ডে মিল নিয়ে শুক্রবার শিক্ষা দপ্তরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল যে, কোনো কারনে কোনো স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধ করা যাবে না।

এমনকি এই মিড ডে মিল ব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছে কিনা! তা সরেজমিনে দেখবার জন্য শিক্ষা দপ্তরকে প্রতিটি স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক এদিন খড়্গপুরের রবীন্দ্রপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে যান এক শিক্ষাকর্মী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই শিক্ষাকর্মী সেই স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দেখা পাওয়া তো দূর অস্ত, সেখানে মিড ডে মিলও হয়নি বলে দেখতে পান।

আর এরপরই সেই শিক্ষাকর্মী সেই স্কুলে থাকা সহ শিক্ষিকা রিঙ্কি ঘোষকে পরিদর্শন রিপোর্ট সই করতে বললে রিঙ্কিদেবী কার্যত তা নাকচ করে দেন। জানা যায়, এই রিঙ্কি ঘোষ স্থানীয় কাউন্সিলর এবং এই স্কুলের সভাপতিও। কিন্তু স্কুল পরিদর্শনে আসা শিক্ষাকর্মীর সাথে রিঙ্কিদেবী এদিন যে দুর্ব্যবহার করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সেই শিক্ষাকর্মীকে রিঙ্কি ঘোষ প্রশ্ন করেন যে, কেন তাকে না জানিয়ে সেই শিক্ষাকর্মী স্কুল পরিদর্শনে এসেছেন! কিন্তু একজন কাউন্সিলার বা কোনো স্কুলের সভাপতি হয়ে সরকারের কোন কাজে হস্তক্ষেপ করা কি উচিত! যখন সরকারের ওপরতলা থেকে বিভিন্ন স্কুলের মিড ডে মিলের ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্য শিক্ষা কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন সেই দায়িত্ব পালন করতে আসা খড়্গপুরের এই স্কুলে এক শিক্ষাকর্মী সাথে কাউন্সিলার এবং সেই স্কুলের শিক্ষিকা রিঙ্কিদেবী যে ব্যবহার করলেন, তা সত্যিই বড় মাপের প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

কেন তিনি এমনটা করলেন! এদিন এই ব্যাপারে রিঙ্কি ঘোষ কে ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই প্রসঙ্গে সেই স্কুলের টিআইসি শাশ্বতী মণ্ডল বলেন, “আমি ছুটি নিয়েছি। শরীর খারাপ। বাইরে রয়েছি। অন্যদিকে এই ব্যাপারে স্কুল পরিদর্শক সৌমজিৎ মাইতি বলেন, “সরকারি নির্দেশে ওই কর্মী স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে এসে রিপোর্ট করেছেন। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!