এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভিন রাজ্য থেকে ফিরে নিজের খরচেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে! তীব্র হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ

ভিন রাজ্য থেকে ফিরে নিজের খরচেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে! তীব্র হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ


করোনা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে গোটা দেশজুড়ে অনেক আগেই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছিল। তবে হঠাৎ করে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। একদিকে হাতে অর্থ শেষ, আর অন্যদিকে পরিবার-পরিজনদের কথা মনে করে রীতিমতো ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘরে ফেরার আর্তি শোনা গিয়েছিল তাদের গলায়‌।

আর এমতাবস্থায় লকডাউন চলার সময়ও পরিস্থিতিকে শিথিল করে দিয়ে অনেক শ্রমিক দের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে দেওয়া সেই সমস্ত শ্রমিকদের শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে বলে অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। যার ফলে এই সমস্ত শ্রমিকরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে শুরু করলে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর এমতাবস্তায় এবার শ্রমিকদের ঘরে ফেরা আটকাতে নয়া কৌশল নিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যকে। বস্তুত, ভিন রাজ্য থেকে যদি শ্রমিকরা যদি নিজেদের বাড়ি ফিরে যান, তাহলে তাদের 14 দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর এই ব্যাপারটিতেই আঘাত করেই রনকৌশল নিচ্ছে কর্ণাটক, গোয়া, তেলেঙ্গানা, গুজরাটের মত একাধিক রাজ্য। জানা গেছে, শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এই রাজ্যগুলি পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা যদি বাড়িতে ফিরে আসেন, তাহলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচ তাদেরকেই মেটাতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সরকার তাদের কোনো খরচ মেটাবে না। আর একদিকে সহায় সম্বলহীন হয়ে যাওয়া শ্রমিকরা নিজেদের বাড়ি ফিরে আসার স্বপ্ন দেখলেও, এবার কোয়ারেন্টাইনের খরচ তাদেরকেই মেটাতে হবে বলে জানানোয় বাড়ি ফেরার স্বপ্ন অনেকেই ভুলতে শুরু করেছেন। তবে একাংশ বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বর্তমান সময়ে সত্যিই অমানবিক। করোনা ভাইরাস আটকাতে সরকার যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে, তাহলে শ্রমিকরা কোথায় যাবেন!

কতদিন তারা বাইরে এভাবে পড়ে থাকবেন! কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে 14 দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচ বহন করার সামর্থ্য শ্রমিকদের রয়েছে। তবে যাদের নেই, তাদের কথা ভাবা হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী সিএন অশ্বত্থ নারায়ন বলেন, “কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর্থিকভাবে যারা অত্যন্ত দুর্বল, তারা স্কুল বাড়ি বা হোস্টেলে থাকবে। তাদের যাবতীয় খরচ বহনের বিষয়টি ভেবে দেখবে সরকার।”

তবে এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নমনীয় নীতি নিয়েছে গোয়া সরকার। যেখানে গোয়ার স্থায়ী বাসিন্দা এমন শ্রমিকরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে বেশ কিছু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো বন্ধ করার জন্য কোয়ারেন্টাইন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা দেখে অনেক শ্রমিকই আর নিজের বাড়িতে ফিরতে চাইছেন না।

তাদের একটাই চিন্তা, এবার কোয়ারেন্টাইন থাকার জন্য তাদেরকে টাকা খরচ করতে হবে। যার ফলে চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। যেহেতু করোনার কোনো প্রতিষেধক এখনও সামনে আসে নি, তাই এর থেকে বাঁচতে ভরসা লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব। কিন্তু এই লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে, উপার্জন হারিয়ে রীতিমত কোনঠাসা মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ। তার মাঝেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!