এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মিহির গোস্বামীর পর এবার ‘বিদ্রোহী’ উত্তরবঙ্গের আরেক হেভিওয়েট বিধায়ক? আরও চাপে ঘাসফুল শিবির?

মিহির গোস্বামীর পর এবার ‘বিদ্রোহী’ উত্তরবঙ্গের আরেক হেভিওয়েট বিধায়ক? আরও চাপে ঘাসফুল শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের বিদ্রোহ কার্যত প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। যেখানে তিনি দল ছাড়ার আগে কার্যত ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কর্পোরেট সংস্থাকে দিয়ে কোনোদিন ভোটে জেতা যায় না।

অর্থাৎ তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মূল অভিযোগ  তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর এবং তার বাহিনীর দিকে ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এবার মিহির গোস্বামীর পথে হেটেই দলের কার্যকলাপ নিয়ে কার্যত প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে নিজের দপ্তরে বসে প্রশান্ত কিশোরের লোকেদের সতর্ক করে দেন এই তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে দলের কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় জগদীশবাবুকে। এমনকি জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সরব হন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, “মিহির গোস্বামী দল ছাড়লে তৃনমূল কংগ্রেসে প্রভাব পড়বে।” কিন্তু তিনি কি দল ছাড়বেন? যেভাবে প্রকাশ্যে প্রশান্ত কিশোরের মত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি মন্তব্য করলেন, তাতে তিনি তো দলের চক্ষুশূল হয়ে উঠবেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, “সময় কথা বলবে।” অনেকে মজা করে বলছেন, পার্থপ্রতিম রায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকেই যেন বিদ্রোহ শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। কোন মতেই তা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। একদম সীমান্তবর্তী এলাকা কোচবিহার। ফলে সেখান থেকে যেভাবে তৃণমূল বিধায়করা দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন এবং দলত্যাগ করার প্রবণতা দেখাচ্ছেন, তাতে এই সীমান্ত এলাকার ভাইরাস কি গোটা রাজ্যে তৃণমূলের অন্দরমহল ছেয়ে যাবে! এখন সেই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলে।

বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেন। মিহির গোস্বামী ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। আর তারপরেই দলের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সিতাইয়ের বিধায়ক। অনেকেরই আশঙ্কা, এখন যদি সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেন এবং পদত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তাহলে তার প্রবল চাপ পড়বে তৃণমূল কংগ্রেসে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!