এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যাদবপুরে কার পাল্লা ভারী মিমি না অনুপম? বিজেপি তৃণমূলের কার ভাগ্যে আসবে শেষ হাসি হাসা

যাদবপুরে কার পাল্লা ভারী মিমি না অনুপম? বিজেপি তৃণমূলের কার ভাগ্যে আসবে শেষ হাসি হাসা


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মূল লড়াই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপির মধ্যেই যে হবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেইমতই রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে কে কাকে টেক্কা দেবে সেই ব্যাপারে এখন থেকেই নানা সমীকরণ শুরু করে দিয়েছে অভিজ্ঞ মহল।

আর এবারে রাজ্যের অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রের সাথে সাথে বিরোধী দল বিজেপির অন্যতম টার্গেট হিসেবে রয়েছে এতদিন তৃণমূলের দখলে থাকা যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিশিষ্ট অধ্যাপক সুগত বসু। কিন্তু এবারে সেই সুগতবাবুর বদলে তৃণমূলের তরফে এখানে প্রার্থী করা হয়েছে বিশিষ্ট টলি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে।

এদিকে হেভিওয়েট এই অভিনেত্রীকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেয়ে এখন থেকেই জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে এতদিন তৃণমূলের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ থাকা সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া অনুপম হাজরাকে এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে শাসক বনাম বিরোধী এই দুই শিবিরের দড়ি টানাটানিতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন যে জমজমাট আকার ধারণ করবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আসন ধরে রাখতে সক্ষম হবে কারা? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত 2014 সালে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে থাকায় এবার সেখানে টলি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করে তৃণমূল ফের একবার এই আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে চাইলেও বিজেপির পক্ষ থেকে জোর প্রচার চালিয়ে “অভিনেত্রীকে ভোটের পরে আর দেখা যাবে না” বলে দাবি করা হচ্ছে।

ফলে সেই দিক থেকে বিজেপি যদি এই প্রচার এখন জনগণের মনে ঢুকিয়ে দিতে পারে তাহলে শাসকদলের বিক্ষুব্ধদের ভোটব্যাঙ্ক কাটাকাটিতে তৃণমূলের প্রার্থী তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর কপালে যে চিন্তার ভাঁজ পড়বে এই আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না ঘাসফুল শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে প্রচারে তারা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তাই আসুন লোকসভা নির্বাচনে ফের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তারাই জয়ী হবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের নেতারা।

অন্যদিকে এই লোকসভা কেন্দ্রে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরাকে বিজেপির প্রার্থী করা হলে সেই অনুপমবাবুকে “গদ্দার” বলে অভিহিত করে পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিচ্ছে তৃনমূল। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে যাই দাবি করা হোক না কেন, সাধারন মানুষ এবার এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির হাতেই তুলে দেবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

তবে তৃণমূলে যেমন নিচুতলার ভোটব্যাংকে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, ঠিক তেমনই সদ্য তৃণমূল থেকে আসা অনুপম হাজরাকে রাতারাতি বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভার টিকিট দেওয়া নিয়ে দলেরই একাংশ প্রবল ক্ষুদ্ধ বলে খবর।

তাই সেক্ষেত্রে এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির প্রার্থীরা প্রচারে ব্যাপক সাড়া পেলেও দলীয় স্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তার জেরে অন্তর্ঘাতের যে প্রভাব ভোটব্যাঙ্কে পড়বে তাতে শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত কিছুকে উপড়ে ফেলে শেষ হাসি কে হাসে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!