প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মিমি চক্রবর্তী নামটা শুনলেই উঠে আসে একটি সাহসী মেয়ের মুখ। কোথাও অভিনেত্রী হিসেবে আবার কোথাও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে তাঁকে বারবার দেখা গেছে দুর্গা রূপে। তবে অভিনেত্রী থেকে বর্তমানে সাংসদ, সবই তিনি সামলাচ্ছেন দশ হাতে। পেতেছেন অজস্র মানুষের আশীর্বাদ ভালোবাসা। সেইসঙ্গে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে একটি সাধারণ মেয়ে থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার এই জার্নি ঠিক কেমন ছিল? আসুন জেনে দেখি।

বস্তুত পড়াশুনা করার জন্যই কলকাতায় এসেছিলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে মিমি চক্রবর্তী। ইংরেজিতে গ্রাজুয়েশন করে মডেলিংকেই নিজের পেশা বেছে নেন সেই সময়। এরপর মাসে ১৫০০০ টাকা বেতনের বিনিময়ে ‘”চ্যাম্পিয়ন” সিরিয়ালে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পকেট মানির জন্য অভিনয় জগতে আসা এই কন্যাকে এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

তবে প্রথম থেকেই কিন্তু তাঁর সঙ্গে এমন স্টার সুলভ আচরণ করা হয়নি। এমনকি সামান্য মেকআপ আর্টিস্টরাও তাঁকে এড়িয়ে চলতেন বলেই জানা যায়। জীবনের শুরুর দিকে বাঁকা নাক, ছোট করে কাটা চুলের এমন মেয়েকে সাজাতে নানা অজুহাত দিয়ে প্রত্যাখ্যান করতেন মেকআপ আর্টিস্ট থেকে শুরু করে হেয়ার স্টাইলিস্ট অনেকেই। অনেকেই মনে করতেন তাঁর বোধহয় অভিনয়টা ঠিক হবে না। কারণ তাঁর মধ্যে গ্ল্যামারের সে ব্যাপারটাই নেই।

তবে সমস্ত কথাকে পেছনে ফেলে তিনি সম্প্রতি বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী সাংসদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একসময় রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কের বিচ্ছেদ এবং রাজনৈতিক জীবনে টানাপোড়েনের মাঝে মনে হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীর ক্যারিয়ার হয়তো শেষ। কিন্তু সমস্ত জল্পনাকে ধুলিস্যাৎ করে তিনি বারবার সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। মেইনস্ট্রিম থেকে শুরু করে অন্য ধরণের সিনেমাতেও তিনি একইভাবে সাবলীল। সম্প্রতি মহালয়াতে তাঁর দুর্গার সাজ নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল অনেক নেট জনতাকে। কিন্তু তাদের সবাইকে চুপ করিয়ে দিয়ে তিনি আবারও তাঁর প্রতিভার কথা জানিয়ে দিয়েছেন স্বমহিমায়।

তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে সিনেমার বাজার খুব একটা ভালো না হলেও পুজোতে কিন্তু মিমি চক্রবর্তী হাজির হচ্ছেন দুটো ছবি নিয়ে। “এসওএস কলকাতা” সিনেমাতে তাঁকে দেখা যাবে বলে জানা গেছে। সেখানে একজন স্পেশ্যাল তদন্ত পুলিশের চরিত্রেই দেখা যাবে মিমি চক্রবর্তীকে। বস্তুত, এই সিনেমার বিষয়বস্তু হল কলকাতাকে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা। তাই তাঁকে এখানে পুরোদস্তর অ্যাকশন করতেই দেখা যাবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে “ড্রাকুলা স্যার” সিনেমাতে তিনি রয়েছে মঞ্জুরির চরিত্রে, যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে সাবেকি আমলের নারী চরিত্রে। সেইসঙ্গে অনির্বাণের বিপরীতেও তিনি অসাধারণ ছন্দময়, সাবলীল। তাই এই সিনেমা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এবার দর্শক হিসেবে আপনি কোন ছবিকে দেবেন ফুল মার্কস, সেটা জানতে আপাতত আপনাকে ২১শে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানা গেছে।