এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের নেতা মন্ত্রীদের চামড়া তুলে নেওয়ার আওয়াজ উঠলো এবার তৃণমূলের অন্দরেই

দলের নেতা মন্ত্রীদের চামড়া তুলে নেওয়ার আওয়াজ উঠলো এবার তৃণমূলের অন্দরেই

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কবল থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে শাসকদলের। ইদানিং লোকসভা ভোট যতোই এগিয়ে আসছে ততোই যেন তৃণমূলের আদিদের সঙ্গে যুবদের কোন্দল যেন আরো বেশিই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আর বেশিরভাগ সমস্যার সূত্রপাতই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই কোচবিহারের শাসকদলের সাংগঠনিক ফাটল স্পষ্ট হয় পুরাতন এবং নবীন কর্মীদের মধ্যে মতানৈক্যের জেরে। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের মন কষাকষি দীর্ঘদিনের। তাঁদের সেই কোন্দলই প্রকাশ্যে এল আবার।এদিন বিকালে কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ ব্লকের শিকারপুরে মিছিল করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ দলের নেতা মন্ত্রীদের চামড়া তুলে নেওয়ার কড়া হুমকি দিল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। অভিযোগ,কিছু নেতা-মন্ত্রীরা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। দলের কথা না ভেবে শুধু নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত তাঁরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই মিছিলে নামেন কয়েকশো যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,এই কোন্দলের সূত্রপাত শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের আদিদের সঙ্গে যুব তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের পারস্পরিক বচসা নিয়ে। যুবদের অভিযোগ,তাঁদেরকে না জানিয়েই দলীয় সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও তাঁদের ডাকা হয় না। এর মাঝে এদিন একটি বৈঠকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবীতে জানায় যুবরা। তাই তাঁরা আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। এদিন মাথাভাঙা-১ ব্লক যুব তৃণমূল নেতা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যুব তৃণমূল নেতার বলেন,”এক শ্রেণীর নেতামন্ত্রী দলকে ব্যবহার করছে নিজেদের লাভের জন্য। তাই তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হয়েছে।” তবে এই দাবী মানতে রাজি নন তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ ব্লক সভাপতি মজিরুল হোসেন। তাঁর যুক্তি,যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা তৃণমূলের লোক হতেই পারে না। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষভাবে অভিযোগের আঙুল তুলছেন বিরোধীদের দিকে। তবে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়কে। দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও বিষয়টি জানা নেই বলেই জানান। তবে তাঁর বক্তব্য,যাঁরা এ ধরণে তৃণমূল বিরোধী কার্যকলাপ করছে তাঁরা আদতে দুষ্কৃতি। দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই পরিকল্পনামাফিক এই কাজটি করছে। এর সঙ্গে দল কোনোভাবেই যুক্ত নয়। তবে তৃণমূলের হেভিওয়েটরা যতোই সাফাই দিক না কেন,আসলে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বই স্পষ্ট প্রকাশ্যে আসছে। যা তৃণমূলের গরিমা রক্ষার্থে ইতিবাচক নয়। এর জেরে তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!