এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রবল অর্থসঙ্কটে ভারতীয় রেল, তবুও ভাড়া না বাড়িয়ে বিকল্প পথে সমাধানে মরিয়া মন্ত্রী

প্রবল অর্থসঙ্কটে ভারতীয় রেল, তবুও ভাড়া না বাড়িয়ে বিকল্প পথে সমাধানে মরিয়া মন্ত্রী

ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে এ যেন বড়সড় অশুভ সংকেত। বর্তমানে প্রবল অর্থসঙ্কটে ভুগছে রেল। আর এই পরিস্থিতিতে আয় বাড়াতে রেলমন্ত্রক মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাও পণ্য পরিবহণ এবং যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি না করে অন্য কোনও পদ্ধতিতে আয় বৃদ্ধির উপর জোর দিতে দেখা যাচ্ছে রেলমন্ত্রককে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি রেলভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সমস্ত জোনাল ম্যানেজার (জিএম) এবং ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারদের (ডিআরএম) নিয়ে এক বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আর সেই বৈঠকেই বিকল্প রাস্তায় রেলের আয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বস্তুত, বর্তমানে রেলের কোষাগার প্রবল আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাধারণ বাজেট পেশের সময় রেলের অপারেটিং রেশিওর উল্লেখ রয়েছে। আর তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বর্তমানে ১০০ টাকা আয় করতে রেলকে অন্তত ৯৭ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর এমতাবস্থায় পণ্য পরিবহণ এবং যাত্রীভাড়ার বিকল্প কোনও রাস্তায় আয় বৃদ্ধি নিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের এই নির্দেশকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই যাত্রীভাড়া না বাড়িয়ে অন্য পদ্ধতিতে আয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত কর্মসূচি রেলমন্ত্রকের রয়েছে। সেই ‘নিউ, ইনোভেটিভ নন-ফেয়ার রেভিনিউ আইডিয়াজ স্কিমে’র আওতাতেই কয়েক মাসকয়েক আগে চলন্ত ট্রেনে ‘হেড অ্যান্ড ফুট মাসাজে’র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল ভারতীয় রেলমন্ত্রক। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

আর তারপরেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে দেখা যায় রেলকে। কিন্তু যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি না করে অন্য আর ঠিক কি উপায়ে সেই স্কিমের আওতায় রেলের রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায়, তা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই জিএম এবং ডিআরএমদের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

শুধু তাই নয়, পণ্য পরিবহণের গতি এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করার ব্যাপারেও পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছেন তিনি। ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ নির্দারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ করা সম্ভব কি না, সেই ব্যাপারেও খোঁজ নিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, রেল আধিকারিকেরা এই ব্যাপারে রেলমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে নির্দিষ্ট সময়েই উল্লিখিত দুটো প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব।

রেলভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়োজিত বৈঠকে সময়ে ট্রেন চালানো, যাত্রী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত রেলওয়ে প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন দ্রুত করার উপর জোর দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। অন্যদিকে রেলের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রেলকে এবার সম্পূর্ণ প্লাস্টিক-মুক্ত করা হবে বলে খবর। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বৈঠকে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বি কে যাদব রেলের সমস্ত জেনারেল ম্যানেজার এবং ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীকে ‘টার্গেট’ করেই তাঁরা যেন এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন।

তবে শুধু প্লাস্টিক-মুক্ত রেল নয়, রেললাইনের দু’পাশে বৃক্ষরোপণ, স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনের স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষার ব্যাপারেও বিশেষভাবে উদ্যোগী হওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান। এছাড়াও নতুন লাইন তৈরি, গজ কনভার্সন, ডাবলিং, বৈদ্যুতিকরণের মতো একাধিক বিষয়ের উপরও জোর দেওয়ার কথা শোনা গেছে রেলমন্ত্রীর গলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!