এতদিন জেলা দাপিয়ে বেড়ানো মন্ত্রী কোভিড পজিটিভ! ঘুম উড়ছে হেভিওয়েটদের! সোয়াব টেস্টে লাগল লাইন কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কখনও জেলা সভাপতি হিসেবে আবার কখনও বা মন্ত্রী হিসেবে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও নানা কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল স্বপন দেবনাথকে। তার মত হেভিওয়েট মন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় অনেকের সাথেই তার সংস্পর্শ হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই স্বপন দেবনাথের এবার করোনা ভাইরাস রিপোর্ট পজেটিভ আসার সাথে সাথেই রীতিমতো ঘুম উঠতে শুরু করেছে জেলা তৃণমূল নেতা নেত্রীদের। জানা গেছে, বর্তমানে স্বপন দেবনাথ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাকে। ফলে তার সঙ্গে তৃণমূলের যে সমস্ত পদাধিকারী এবং সরকারি কর্মীরা সেই সমস্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে এবার তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বস্তুত, গত দুই সপ্তাহ জুড়ে স্বপন দেবনাথ পূর্বস্থলী পরানপুর জলুইডাঙা গ্রামে নদী বাঁধের উদ্বোধন সহ রাখীবন্ধন উৎসব এবং আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে তার সঙ্গে সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্যরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই এই অনুষ্ঠানের কিছুদিন পরেই স্বপন দেবনাথ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বুধবার জেলা তৃণমূলের অনেক নেতা নেত্রীরাই সোয়াব টেস্ট করাতে তৎপর হয়ে পড়েন। অনেকেরই প্রশ্ন, যখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে, তখন কেন সরকারি অফিসার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা তা মান্যতা দেননি? যার কারণে এবার স্বপন দেবনাথ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই রীতিমত আতঙ্কে তাদেরকে এই সোয়াব টেস্ট করাতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলছি। যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে, সেভাবে কাজ করব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, “নিভৃতবাসে থাকছি। পরীক্ষা করিয়ে নেব। একইভাবে স্বপন দেবনাথের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব ছিলাম। এখনও পরীক্ষা করাইনি।” তবে তারা যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে স্বপন দেবনাথের সঙ্গে তারা এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তাতে তাদের শরীরে যে করোনা সংক্রমিত হয়নি, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত নয় কেউ। তাই পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে এখন তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। যদি সত্যি সত্যিই এই সমস্ত তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে সরকারি কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে স্বপন দেবনাথের করোনার সংক্রমিত হওয়ার সংস্পর্শ প্রবেশ করে, তাহলে গোটা জেলা জুড়ে হু হু করে বাড়তে শুরু করবে করোনা ভাইরাস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -