একই দপ্তরের দুই মন্ত্রীর মধ্যে শুরু তীব্র চাপানউতোর! অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলে উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য August 25, 2019 নির্বাচনে বিপর্যয় হলেও শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব যেন কমছে না কিছুতেই। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মাঝিয়ানের কৃষি মহাবিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধনের আমন্ত্রণ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সামনে আসতে শুরু করে। সূত্রের খবর, বুধবার ওই অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে দেখা যায়নি জেলার রাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁচ্চু হাসদা সহ বিধায়কদের। অনেকেরই প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উপস্থিত থাকলেও এদিন যাঁর এলাকায় অনুষ্ঠান, সেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা জেলাতে থাকলেও তিনি কেন এলেন না! তা নিয়ে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন তিনি এলেন না এই অনুষ্ঠানে! এদিন এই প্রসঙ্গে বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “আমাকে অনুষ্ঠানের আসার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়নি। এমনকি ফোন করেও কেউ জানাননি।” তবে বাচ্চুবাবুর এই দাবিকে সম্পূর্ণরুপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। ওই মন্ত্রীকে টেলিফোনও করা হয়েছিল।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের দপ্তরের দুই মন্ত্রীর এহেন দাবিতে জেলার রাজনীতিতেও ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে। জেলার একমাত্র মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদাকে কেন ব্রাত্য রাখা হল! তা নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল শিবিরেও ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আগামী দিনে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাছে এই কলেজ অন্যতম স্থান করে নেবে। সকলকে এখানেই ভরসা করতে হবে। কৃষি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের দপ্তরের তরফে আরও টাকা বরাদ্দ করা হবে। এদিন অনুষ্ঠানের জেলার বিধায়ক, মন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সকলকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কেন সকলে এলেন না তা আমার জানা নেই।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। কেন হল না, তা আমার জানা নেই। আমাকে কেউ ফোনও করেনি এই অনুষ্ঠানে আসার ব্যাপারে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরন্তন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম ব্যাচেই এই মহাবিদ্যালয় থেকে সর্বভারতীয় স্তরে তিনজন ছাত্র রাঙ্ক করেছে। এবছরও ভালো ফল করেছে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। আমাদের তরফে সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কেন কেউ কেউ আসেননি তা আমি বলতে পারব না।” তবে অনেকেরই প্রশ্ন, যে জেলায় এতবড় উদ্বোধন কর্মসূচি হল, সেই জেলায় উদ্বোধনে কোচবিহারের বাসিন্দা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আসলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা কেন উপস্থিত নেই! তাহলে কি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দুই মন্ত্রীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে! এই ঘটনা থেকে এখন এইসব প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। আপনার মতামত জানান -