এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার রাজ্যে ঋণ পাচ্ছেন না লক্ষাধিক সংখ্যালঘু মহিলারাও! জল্পনা ও উদ্বেগ সব মহলেই!

মমতার রাজ্যে ঋণ পাচ্ছেন না লক্ষাধিক সংখ্যালঘু মহিলারাও! জল্পনা ও উদ্বেগ সব মহলেই!


2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মহিলাদের স্বনির্ভর করার দিকে নজর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু সমাজের মানুষের জন্য নানা উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ায় সেই সম্প্রদায়ের মুখে হাসি ফুটেছিল। যে হাসি থেকে বাদ ছিলেন না সেই সম্প্রদায়ের মহিলারাও। কিন্তু এবার সেই সংখ্যালঘু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণ না পাওয়া নিয়ে সরকারের ভূমিকায় উঠতে শুরু করল প্রশ্ন।

বস্তুত, রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং বিত্ত নিয়ম সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে তৈরি হওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করে। পোস্টার, ব্যানার টাঙ্গিয়ে ঢালাও করে এর প্রচার করা হয়। তবে অভিযোগ, সংখ্যালঘু সমাজের মহিলাদের জন্য এই উন্নয়ন প্রকল্প নিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মহিলারা যেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে নিজের পায়ে ঘুরে দাঁড়াবেন, সেখানে আবেদন করা সত্ত্বেও তারা পর্যাপ্ত ঋণের টাকা পাচ্ছেন না।

যা নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সেই সংখ্যালঘু সমাজের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে! জানা গেছে, অতীতে ঋণ পরিশোধের কিস্তি নগদ হিসেবে উপভোক্তাদের কাছ থেকে নেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার ফলে চালু করা হয়েছে ম্যান্ডেড সিস্টেম। যেখানে সমস্ত তথ্য থাকবে। আর সেই ফ্রম ব্যাংকে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ গ্রহীতার কিস্তি মাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তা মাইনাস হয়ে যাবে। আর এখানেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, রাজ্যের অনেক সংখ্যালঘু মহিলারা অতটা শিক্ষিত নন। যার ফলে আবেদনপত্রের সইয়ের সঙ্গে ব্যাংক ঝনের ক্ষেত্রে বিপুল ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই নিয়ম মত ব্যাংকের পক্ষ থেকে তারা ঋণ পাচ্ছেন না। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। জানা গেছে, জেলায় জেলায় কোথাও 1200, কোথাও 300, কোথাও সাড়ে 400 র মত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। ঋণ না পেয়ে কার্যত হতাশা গ্রাস করেছে তাদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভাপতি বলেন, “এর আগে দপ্তর থেকে ঋণ নিয়ে আমরা কাঁথা স্টিচের কাজ করে দোকানে দোকানে সরবরাহ করেছি। সেই ঋণ মিটিয়ে গত বছরের নভেম্বরে পুনরায় দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সমস্ত কিছু ভেরিফিকেশনের পর সদস্যা পিছু 22000 টাকা করে ঝন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নভেম্বর মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তা মেলেনি। দপ্তরে গেলে বলা হচ্ছে, আবেদনের সঙ্গে ম্যান্ডেট ফর্মের সই মিলছে না।”

তবে এই সমস্যার কবে সমাধান হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মৃগাঙ্ক বিশ্বাস বলেন, “ম্যান্ডেড ফর্মে সই ভেরিফিকেশনের জন্য ঋণ পেতে দেরি হচ্ছে। আমরা ই-ম্যান্ডেড সিস্টেম আনার চেষ্টা করছি। এসবিআইয়ের সঙ্গে কথা বার্তা চলছে। এতে ম্যান্ডেট দ্রুত হবে। তবে গত বছরের নভেম্বর থেকে আবেদন পড়ে থাকার কথা নয়। নিশ্চয় আবেদনকারীর কাগজপত্রে ভুল রয়েছে। আমরাও খতিয়ে দেখছি।”

তবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগমের কর্তা যাই বলুন না কেন, যেভাবে ঋণ না পেয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যালঘু মহিলারা বিপাকে পড়েছেন, তাতে তারা হতাশ চোখে কবে একটু আলো দেখতে পান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন – সব জায়গাতেই দেখা গেছে তৃণমূলের জয়ের পিছনে বড় স্থপতি সংখ্যালঘু ভোট। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও দাবি করেন তিনিই সংখ্যালঘুদের বন্ধু হয়ে প্রকৃত উন্নয়ন করেছেন। সেই পরিস্থিতিতে এই ধরনের ব্যাপার তৃণমূলের ভোটবাক্সে থাবা বসায় কিনা সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!