এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপি প্রভাব বাড়াতেই শুরু সংঘর্ষ, প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের! মানতে নারাজ তৃণমূল!

সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপি প্রভাব বাড়াতেই শুরু সংঘর্ষ, প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের! মানতে নারাজ তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ যেন কিছুতেই কমছে না। বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক-বিরোধী সংঘর্ষের ঘটনা আরও জোরালো হতে শুরু করেছে বাংলায়। জানা গেছে, শুক্রবার মেদিনীপুরের এগরা ওয়ান ব্লকের বরিদা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ় শেখ লিয়াকতের । যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় 15 জন ব্যক্তি। কিন্তু কেন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এগড়া 1 ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরিদা গ্রামের উত্তর বস্তি এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।

প্রথম থেকেই এখানে সিপিএমের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও এখানে সিপিএমের প্রার্থী জয়লাভ করে তবে কিছুদিন আগেই এই ভুতের সিপিএমের একটি অংশে যোগ দেয় ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর থেকেই উত্তেজনা তৈরী হতে শুরু করে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। জানা গেছে, এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারিত ব্যক্তির বিপক্ষ শরিক বিজেপির পক্ষে রয়েছে।

আর সেই বিপক্ষ শরিক বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহরমের আগে সেখানে নিশান ওড়াতে এসেছিলেন। আর সেই সময়ই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায় আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন। আর এরপরই গোটা ঘটনায় মৃত্যু হয় লিয়াকাত শেখ নামে পঞ্চান্ন বছর বয়সী এক ব্যক্তির। অনেকেরই দাবি, বিজেপি সংখ্যালঘু এলাকায় প্রভাব বাড়ানোর সাথে সাথেই শাসক দল তার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। আর তার কারণেই এই গোটা ঘটনা ঘটল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে এদিন দুপুরে এগড়ার এসডিপিওর সঙ্গে দেখা করেছেন কাথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। তবে তৃণমূল এবং বিজেপি অপরের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অভিযোগ করতে ছাড়ছে না কেউ কাউকেই। এদিন এই প্রসঙ্গে বরিদা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, “বরিদার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। একটি জায়গার ওপর নিয়ন্ত্রণ কার থাকবে, তা নিয়ে শরিকি বিবাদ থেকেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ। যেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে।”

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “কিছুদিন আগে বরিদা গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের কয়েকজন আমাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। তাতেই তৃণমূল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের দাদা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।”

তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলেই আশঙ্কা করছেন সকলে। এভাবে যদি তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হতে শুরু করে, তাহলে জনমানসে এই দুই দল সম্পর্কে কি বার্তা যাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে এবার এলাকা শান্ত রাখতে প্রশাসন টহল দিলেও কতদিন এখানে শান্তি বিরাজ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!