এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মিড্ ডে মেল নিয়ে আজ বড়সড় আন্দোলনে অবরুদ্ধ হতে চলেছে তিলোত্তমা

মিড্ ডে মেল নিয়ে আজ বড়সড় আন্দোলনে অবরুদ্ধ হতে চলেছে তিলোত্তমা

লোকসভা ভোটের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার নয়া কৌশল বামফ্রন্টের। এবার মিডডে মিল প্রকল্পে কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে বামেদের নিশানায় কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সংশ্লিষ্ট দাবীতে এবার কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ময়দানে নামল সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। গতকাল ধর্মতলার রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে মিড ডে মিল কর্মীদের জমায়েতে এই দাবীতে সরব হন তাঁরা। এদিনের সমাবেশের প্রধান বক্তার ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত,কেন্দ্রীয় সরকারের মিড ডে মিল প্রকল্প গোটা দেশেরই প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। শিক্ষা গ্রহণ করার আগে প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। দরিদ্র সীমার নীচে অবস্থান কারী পরিবারের ছেলেমেয়েদের সিংহভাগই অভুক্ত থেকে স্কুলে আসে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের স্কুলের পড়াশুনা,এমনটাই একটা সমীক্ষায় উঠেছিল। তাছাড়া এই ক্ষুধাজনিত কারণে স্কুলের ক্লাস সম্পূর্ণ না করেই পালিয়ে যাওয়ার নজিরও সামনে এসেছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই কেন্দ্র সরকার চালু করেছিল মিডডে মিল প্রকল্প।

স্বাভাবিকভাবেই নীচু ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলছুট রুখতে যথেষ্ট কার্যকর হয়েছে এই প্রকল্প। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়। এসব স্কুল পড়ুয়াদের পাতে দৈনিক রান্না করা খাবার যারা তুলে দিচ্ছেন সেসব হাজার হাজার মহিলাদর মাসিক ভাতার পরিমান এ রাজ্যে মাত্র দেড় হাজার টাকা। তাই এদের ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে এবার পথে নামল সিটু।

এদিনের কর্মসূচিতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সুজন বাবু বলেন,কেন্দ্রে প্রথমে ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে বামফ্রন্ট যে জনস্বার্থমুখী কর্মসূচির রূপায়ন করেছিল। তার মধ্যে একটি ছিল মিড ডে মিল ব্যবস্থা। কেন্দ্র এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের এক হাজার টাকা ভাতা দেয় আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আসে মাত্র ৫০০ টাকা। তাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ করানো হয় বলে কার্যত কোনো স্কুলে তিনজন রান্না করলেও একজনের ভাতা তিনজনের মধ্যে ভাগাভাগি করতে হয়। ফলত এক একজনের পকেটে আসে মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা যা তাঁদের পারিশ্রমিক হিসাবে একদমই নগন্য।

রাজ্যসরকার এসব কর্মীদের পেছনে টাকা খরচ করতে পারে না অথচ মেলা-উৎসবের জন্যে দেদার টাকা ব্যায় করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! এছাড়া কেন্দ্রের অংশ বৃদ্ধির দাবী না তুলে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেখা যায় না শাসকদলকে। এভাবেই মিড ডে মিলের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।

পাশাপাশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপিতোষণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন,”আসলে রাফালের মতো বিরাট কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলেও তিনি যেমন চুপ করে থাকেন, তেমন এব্যাপারেও নরেন্দ্র মোদির অস্বস্তি বাড়াতে চান না মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি লগ্নে দাঁড়িয়ে মিড ডে মিলের কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির দাবী তুলে কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকার বিরোধী বামেদের এই কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়েও বামেরা ১৯’এর লোকসভা ভোটে মেরুদণ্ড সোজা করার যে চেষ্টা শুরু করেছে,এদিনের কর্মসূচি সেটারই প্রমাণ দিল। তৃণমূল-বিজেপির আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই ময়দানে নামল বামফ্রন্ট,এমনটাই দাবী বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!