প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। তাই রাজ্যজয়ের পর এবার দেশজয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেই দলের সংগঠনকে মজবুত করা ও দলের সমর্থক সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। বিশেষভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন দলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে রাজনৈতিক পাঠ নেবার পর একবারে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাছ থেকেও দলের সংগঠন বৃদ্ধি ও সমর্থক বৃদ্ধির নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। এরপরই তিনি এ বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

সম্প্রতি, করোনা সংক্রমণ থাকার কারণে রাজ্যজুড়ে জারি রয়েছে বহু বিধিনিষেধ। এ কারণে মিটিং, মিছিল, সমাবেশ কার্যত অসম্ভব। তাই এই পরিস্থিতিতে সভা-সমিতির পরিবর্তে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি যুবসমাজের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে, আর তাকে অস্ত্র করেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দলের প্রচারের কাজে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুবকদের বেশি করে তৃণমূলমুখী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক।

এদিকে, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই যুব সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সংগঠনের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। সমস্ত মহল থেকে নতুন প্রজন্মের ব্যক্তিদের রাজনীতির ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা ও তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আবার, করোনা সংক্রমনের সময় তাঁকে মানুষের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আবার, দলের ভাবমূর্তি যাতে কালিমালিপ্ত না হয়, সেজন্য ব্যক্তিগত কার্যকলাপের ওপরেও বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন তিনি।

এদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যুব সংগঠনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন সায়নী ঘোষকে। যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাই এবার থেকে নিত্যদিনের অভাব-অভিযোগকে সামনে এনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজেপির তীব্র বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এ বিষয়ে রাজ্যের যুবসমাজকে কাছে টানার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে গঠনমূলক সমালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যা সমাধানের পথ নির্দেশ দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।