এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মিটেও মিটল না কোন্দল? বিপ্লবের সভায় অনুপস্থিত স্বয়ং মন্ত্রী ও হেভিওয়েট নেতা, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!

মিটেও মিটল না কোন্দল? বিপ্লবের সভায় অনুপস্থিত স্বয়ং মন্ত্রী ও হেভিওয়েট নেতা, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গোষ্ঠী কোন্দল ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বলে আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু শনিবার বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের সভার পর সেই গোষ্ঠী কোন্দল যে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়নি, তা আবার প্রমাণিত হয়ে গেল। লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়কালে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিপ্লব মিত্র যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু বিজেপিতে বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসেন এই হেভিওয়েট নেতা। আর তারপরে তৃণমূলে ফিরে আসলেও তাকে কোনো কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আর এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, সমস্ত কর্মসূচিতে বিপ্লব মিত্রকে ডাকতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই জেলার বিভিন্ন শহর এবং ব্লকে দলের পক্ষ থেকে সভা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লববাবুকে। আর সেই মত করেই শনিবার বিপ্লব মিত্র বালুরঘাটের সভায় উপস্থিত হলেও, সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী বাচ্চু হাসদা এবং গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিপ্লব মিত্রের বিরোধী বলে পরিচিত সত্যেন রায়কে। বালুরঘাটের সভায় জেলা তৃণমূলের এই দুই শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে কেন্দ্র করে এবার নতুন করে গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

জানা যায়, এদিন সাড়ে তিনটেয় বালুরঘাটের সভায় উপস্থিত হন বিপ্লব মিত্র। যেখানে প্রায় পনেরো মিনিটের মত বক্তব্য রাখেন তিনি। নিজের বক্তব্যে বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়ে কড়া আক্রমণ করতে দেখা যায় বিপ্লববাবুকে। তিনি বলেন, “অমিত শাহ রাজ্য সফরে এলেন, কিন্তু ওনার মুখ থেকে রেল, বিমান, চিকিৎসার উন্নয়ন নিয়ে কোনো কথা শোনা যায়নি।” এদিকে বিপ্লব মিত্র বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে উপস্থিত হন জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস।

কিন্তু নিজের বক্তব্য শেষ করেই “গঙ্গারামপুরে একটি বড় যোগদান আছে” বলে সেই সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। তবে বিপ্লব মিত্রের বালুরঘাটের সভায় আগমন নিয়ে তার অনুগামীরা উদ্বুদ্ধ হলেও, এই সভায় গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত ফুটে উঠল বলেই দাবি একাংশের। একদিকে যেমন তপনের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চুবাবু অনুপস্থিত থাকলেন, ঠিক তেমনই জেলা রাজনীতিতে বিপ্লব মিত্রের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত সত্যেন রায়ের অনুপস্থিতি জল্পনা ক্রমশ বাড়িয়ে দিতে শুরু করল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে কি এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহাল রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে! তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এরকম কোনো ব্যাপার নেই। বংশীহারীতে দলের অন্য কোনো কর্মসূচি থাকায় সত্যেন রায় বালুরঘাটে আসতে পারেননি। তবে জেলার সদর শহর বালুরঘাট। সেখানে এত বড় সভা হলেও, বিপ্লব মিত্রের মত গঙ্গারামপুরের তাবড় নেতা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, কেন সত্যেন রায়, বাচ্চু হাসদারা অনুপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, বিপ্লব মিত্র দলে সক্রিয় হওয়াতে সত্যেনবাবু কিছুদিন আগেই প্রেস মিডিয়ায় মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে। আর এবার বিপ্লব মিত্র বালুরঘাটের সভায় উপস্থিত থাকলেও, এক মন্ত্রী এবং এক নেতার অনুপস্থিতি জেলা তৃণমূলের ফাটলকেই সামনে এনে দিল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!