মিঠুন চক্রবর্তী পেলেন স্বস্তি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবার প্রত্যাহারের আবেদন-বাড়ছে জল্পনা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভারতখ্যাত রুপোলি পর্দার নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী জড়িয়েছেন আইনি জটিলতায়। এর কারণ জানতে গেলে আমাদের আরেকটু পিছিয়ে যেতে হবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কার্যত গেরুয়া শিবিরের অন্যতম তারকা মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের ভোট প্রচারে তিনি একের পর এক সিনেমার ডায়লগ দেন। আর এখানেই শুরু হয় সমস্যা। মানিকতলার একটি তৃণমূল সংগঠন মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য। মামলা চলাকালীন এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। মামলা প্রত্যাহারের আবেদন সামনে এল। মামলা শুরুকালীন মিঠুন চক্রবর্তী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলা খারিজের জন্য। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে অস্বস্তিতে রেখে মামলা জারি রাখা হয় এমনকি তাঁকে তদন্তে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মিঠুন চক্রবর্তীও নির্দেশ মেনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেসময় মানিকতলা থানা থেকে প্রায় 45 মিনিট ধরে জেরা চালানো হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। কিন্তু এবার পুরো ঘটনাটাই অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে হাইকোর্টে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল এবার সেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক মহলেও প্রশ্ন উঠছে, কি এমন ঘটলো যার জন্য মামলাকারীদের আইনজীবী উচ্চ আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলেন? যদিও এ ব্যাপারে হাইকোর্ট কোনো নির্দেশ দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। অতএব আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে খবর। মঙ্গলবার হাইকোর্টে মিঠুন চক্রবর্তীর মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, শুনানির শুরুতেই মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় পাল প্রথমে আবেদন জানান, মামলাটি যেন অন্য বেঞ্চে সরানো হয়। কিন্তু তারপরেই তাঁর আবেদন পুরোপুরি বদলে গিয়ে হয়ে যায় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। হঠাৎ করে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন কেন জানানো হল, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তীর পক্ষ থেকেও এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক মহলে অবশ্য কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য গুঞ্জন। অনেকেই মনে করছেন, আদালতের বাইরে আসলে রফা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এই রফা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কেউই কিছু বলতে পারেনি। সেক্ষেত্রে অনেকেই ধারণা করছেন, তাহলে এবার মিঠুন চক্রবর্তীর গতিপথ বদলাতে চলেছে। সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু আভাস পাওয়া না গেলেও একথা পরিষ্কার মিঠুন চক্রবর্তীর মামলা রাজনৈতিকভাবে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -