এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মিটলো কি দূরত্ত্ব? বিজেপির বাড়বাড়ন্তে দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাজ শুরু নেত্রীর

মিটলো কি দূরত্ত্ব? বিজেপির বাড়বাড়ন্তে দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাজ শুরু নেত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জেলায় জেলায় বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে শাসকদল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। নদীয়া জেলায় শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে জেলায় ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার জেলার একাধিক তৃণমূল, নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলিয়াতে একটি সভার আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল সংসদ সদস্য তথা নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র। এই সভামঞ্চ থেকে জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁদেরকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিলেন তিনি। তবে, গতকালের এই সভাতে শান্তিপুরের ব্লক কমিটি নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে।

প্রসঙ্গত গতকাল শুক্রবার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভা এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে ছিল জেলা সভাপতির বিশেষ বৈঠক। এই রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত হলো রানাঘাট পুরসভা, তাহেরপুর নোটিফাইড, রানাঘাট-১ ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত, শান্তিপুর ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত। অন্যদিকে গত রবিবার নদীয়া জেলার নতুন কমিটি ঘোষিত হয়েছে। এই নতুন কমিটিতে রানাঘাট ব্লক সভাপতি যেমন পরিবর্তন করা হয়েছে। তেমনি সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকার প্রত্যেকটি ব্লকের ও শহরের সভাপতি পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এই সভায় শান্তিপুরের নতুন ব্লক কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে। যদিও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখেন নি জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র। সংবাদমাধ্যমের সামনাসামনি না হবার কারণে, এ বিষয়ে তাঁকে কোন প্রশ্নও করা যায়নি। গতকালের এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিধায়ক, জেলা সভাপতি ছাড়াও কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভা এলাকাতে গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রায় ৪৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে চাইছে তৃণমূল। এদিকে জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। তবে, গতকালের সভায় বিধানসভা এলাকার প্রায় সমস্ত নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল। যা দেখে অনেকটাই আনন্দিত ও আশাবাদী জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

গতকালের এই সভা মঞ্চ থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র জানালেন যে, দলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দূরে সরিয়ে রেখে, একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে দলের কাজ করে যেতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, অঞ্চল সভাপতিদের বুথ স্তরে কর্মিসভার আয়োজন করতে হবে। সকলকে দলের কথা ভেবে চলতে হবে। তিনি আশা রেখেছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় আবার আশানুরূপ ফল লাভ করবে তৃণমূল। গতকাল রানাঘাট উত্তর- পূর্ব বিধানসভা এলাকাতেও একটি পৃথক কর্মিসভার আয়োজন করেছিল শাসক দল তৃণমূল।

প্রসঙ্গত নদীয়া জেলাতে শাসকদল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার একটি আসনে বিপুল ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি এই জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাইছে। আবার, এই জেলায় বিজেপি ক্রমশ তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। অপরপক্ষে বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। তবে গতকালের সভায় তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীর উপস্থিতি দলকে অনেকটাই স্বস্তি দিল। এই সভা থেকেই তৃণমূল জেলা সভাপতি ঐক্যের বার্তা দিলেন দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!