এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এম জে আকবর বনাম ২০ ‘নিগৃহীতা’ মহিলা – ‘মিটু’ ঝড় শেষপর্যন্ত গেল আদালতের তীব্র লড়াইয়ে

এম জে আকবর বনাম ২০ ‘নিগৃহীতা’ মহিলা – ‘মিটু’ ঝড় শেষপর্যন্ত গেল আদালতের তীব্র লড়াইয়ে


কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক প্রিয়া রামানি যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন সম্প্রতি। ট্যুইটারের মাধ্যমে একথা প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় উঠে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগকারীনি প্রিয়া রামানির পোস্টটিতে ১২০০-এর বেশি লাইক পড়ে। এর জেরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন এম জে আকবার। এর পাল্টা জবাব দিয়ে প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আকবর। দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ আদালতে এম জে আকবরের আনা মানহানির মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর।

সেদিনই অভিযোগকারী এম জে আকবরের বয়ান নথিভুক্ত করার কথা রয়েছে। প্রিয়া রামানি এক সংবাদসংস্থাকে এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘প্রমাণিত হল আমার অভিযোগে সারবত্তা রয়েছে। এবার আদালত থেকে সুবিচারের আশায় আছি’। অন্যদিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব এক ইংরাজি দৈনিকের ১৯ জন মহিলা সাংবাদিক। প্রিয়ার সঙ্গে তাঁদের অভিযোগকেও যেন পরবর্তী শুনানিতে গুরুত্ব দেন বিচারক – সেটাই আবেদন করেছেন তাঁরা একটি বিবৃতিতে। উল্লেখ্য, শুধু প্রিয়া রামানিই নন, আকবরের বিরুদ্ধে আরো ১৯ জন মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন। এদিন প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন আকবর।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রসঙ্গে এম জে আকবর জানান, ‘যেহেতু আদালতে বিচারের প্রত্যাশায় আমি নিজস্ব উদ্যোগে আবেদন জানাতে চলেছি, সেই কারণে সরকারি পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছি। নিজ উদ্যোগেই যাবতীয় মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ব’। এদিন শুনানির শুরুতেই অভিযোগকারী আকবরের তরফে ৪১ পাতার মানহানির অভিযোগ তুলে তাঁর আইনজীবী গীতা লুথরা জানান, প্রিয়া রামানির ট্যুইট এবং রি-ট্যুইটের জেরে অভিযোগকারীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইটটি ১,২০০-এরও বেশি লাইক সংগ্রহ করার জেরে ৪০ বছর ধরে গড়ে তোলা কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা এম জে আকবরের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, শুধু জাতীয় স্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। এর জেরে বিশিষ্ট ব্যক্তিটির ভাবমূর্তি কলুষিত হয়েছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই মামলায় নিজের যুক্তিতে লুথার আরো জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগটি প্রায় ২০-৩০ বছর পর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এর জেরে এটা স্পষ্ট যে শুধুমাত্রই অভিযোগকারীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা মাফিক ষড়যন্ত্র এটা। এখন এই যুক্তির সাপেক্ষে আদালত কী রায় দেয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এই মানহানি মামলার জল বহুদূর গড়াবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!