এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > “ড্যামেজ কন্ট্রোল” করতে মাঠে নেমে পড়লেন বিধায়ক, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি রুখতে নয়া পদক্ষেপ

“ড্যামেজ কন্ট্রোল” করতে মাঠে নেমে পড়লেন বিধায়ক, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি রুখতে নয়া পদক্ষেপ

এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই শাসকদলের ফলাফল পর্যালোচনার বৈঠকে দলীয় নেতাদের একাংশের দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষের প্রতি দুর্ব্যবহারই প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। আর তারপরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের যাতে সামনে এনে দলকে সুসংহত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার বার্তা দেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যার জেরে সমস্ত মানুষদের অভাব-অভিযোগ জানতে নিজের দলীয় কার্যালয়ে একটি অভিযোগ বাক্স বসান চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। আর তিনি এই অভিযোগ বাক্স বসানোর পর থেকেই নানা অভিযোগ সেখানে পড়তে শুরু করেছে। যেখানে তৃণমূলের একাংশের দুর্নীতি নিয়েই অভিযোগ করেছেন একাধিক মানুষ। আর এই সমস্ত কিছু দেখেশুনে শুক্রবার দুর্নীতি রোধে মাইক হাতে সবাইকে সতর্ক করলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক।

জানা গেছে, এদিন প্রথমেই চুঁচুড়ার লঞ্চঘাট সংলগ্ন অটো-টোটো স্ট্যান্ড এগিয়ে টোটো এবং অটোচালকদের অসুবিধার কথা শোনেন অসিত মজুমদার। আর সেখানেই তাকে অনেক টোটো চালক অভিযোগ জানান যে, “আমরা গাড়ি চালাই বা না চালাই, দৈনিক এক তৃণমূল কর্মীকে কুড়ি টাকা করে দিতে হয়। এমনকি অসুস্থ থাকলেও এই ব্যাপারে রেহাই মেলে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই কথা শুনেই বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “আর কাউকে এভাবে টাকা দিতে হবে না।” এদিকে টোটো অটো চালকদের সমস্ত অভিযোগ শুনে এদিন পেট্রোল পাম্প, থানা, খাদিনা মোড়, চুঁচুড়া স্টেশন, হুগলী স্টেশন ও ব্যান্ডেলের অটো স্ট্যান্ডেও যান অসিত মজুমদার। যেখানে তার সাথে ছিলেন চুঁচুড়ার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, উপপ্রধান অমিত রায় সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে দলের ভরাডুবি এবং চুঁচুড়া বিধানসভায় তৃণমূলের পরাজয়ের পরই দলের দুর্নীতির জন্যই যে এই হার হয়েছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। আর তাইতো অভিযোগ বাক্সে সকলকে তাদের অভাব অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিলেন তিনি। এদিকে অভিযোগ বাক্সে দলেরই একাংশের দুর্নীতির কথা উঠে আসায় এবার পথে নামতে বাধ্য হলেন এই চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক।

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শহরে এইসব চলছে তা আমি জানতাম না। মানুষের ক্ষোভ এই বাক্সে পুঞ্জীভূত হয়েছে। সব ধরনের অভিযোগেরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে দলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসায় এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলার তৃনমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “কেউ যদি কারও কাছে টাকা চেয়ে থাকে তা একেবারেই ঠিক কথা নয়। আমি এই ব্যাপারে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলব।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!