বিধায়ক খুন কি তা হলে পরিকল্পনামাফিক? ঘটনার পরম্পরা তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে দাবি স্থানীয়দের নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য February 10, 2019 সরস্বতী পুজোর রাতে তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে নদীয়ায়। থমথম হয়ে রয়েছে কৃষ্ণগঞ্জ। বিশেষত খুনের ঘটনার রাতে অনুষ্ঠান চলাকালীন এতোবার লোডশেডিং নজর কেড়েছে বাসিন্দাদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,গতকাল অনুষ্ঠানে আট ঘন্টায় সাতবার লোডশেডিং হয়েছে। মিনিট খানেকের জন্যে চারপাশ অন্ধকার। তারপর হঠাৎ করে ফিরে এসেছে আলো। তাহলে লোডশেডিংকে হাতিয়ার করে কি ষড়যন্ত্র করেই খুন করা হল তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কৃষ্ণগঞ্জের স্থানীয়মহলে। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে বেশ নামডাক ছিল নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের। শাসকদলের দক্ষ সংগঠক হিসাবে বেশ সুনাম অর্জনও করেছিলেন সত্যজিৎ। এলাকায় অনুষ্ঠান হোক বা কোনো দলীয় সভা তাঁর সক্রিয় যোগদান নজর এড়ায়নি স্থানীয়দের। এরকম একজন জনপ্রিয় নেতার সরস্বতী পুজোর রাতে ভরা অনুষ্ঠানে খুন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো হতবাক গোটা এলাকা। মা,স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে সংসার সত্যজিতের। বাড়ি থেকে অনতিদূরে সরস্বতী পুজোর একটি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন তিনি। পুজো থাকায় ছুটিতে ছিলেন তাঁর দেহরক্ষী। আর সেই সুযোগ নিয়েই বারবার লোডশেডিংয়ের অজুহাতে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব থেকে গুলি ছুঁড়ে আততায়ীরা খুন করে বিধায়ককে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় সত্যজিৎ বিশ্বাসের। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টা পর্যন্ত দেননি তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবার এবং অনুগামীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে জনসমক্ষে বিধায়কের খুনের অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে পড়েছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেব আইহি অজয় কুমার। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বিধায়ককে গুলি করে চম্পট দেয় আততায়ীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবী করেছেন,গুলি ছোঁড়ার পর আলো আসতেই আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে চম্পট দেয় আততায়ীরা। ফুলবাড়ি এলাকায় নিজের ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। অনুষ্ঠান চলাকালীন সাতবার লোড শেডিং হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। দর্শকাসনের প্রথম সারিতেই বসেছিলেন সত্যজিত বাবু্। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল অনুষ্ঠান। তবে তার মাঝে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার বিরক্ত হচ্ছিলেন অনেকেই। আর এই সুযোগেই সত্যজিৎ বাবুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। সরস্বতী পুজোর রাতেই ঘটে যায় এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড! এখন এই মার্ডার পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে কিনা,আর সেজন্যেই বারবার ইচ্ছে করে লোডশেডিং করে খুনের আবহ তৈরি করা হচ্ছিল কিনা এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত জারি রেখেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। বিধায়ক খুনের রহস্যের জট দ্রুত উদ্ধার করার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -