বিধায়কদের টিকিট দেওয়া নিয়ে আদতে ‘টুপি পড়াচ্ছেন’ মমতা? বিস্ফোরক তাঁরই প্রাক্তন অনুগত সৈনিক! কলকাতা রাজ্য July 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিরোধীরা বলে, তৃণমূলের একটাই পোস্ট। বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। এক্ষেত্রে পোস্ট বলতে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝান তারা। এমনকি বাস্তবেও দেখা গেছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলের নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় তেমন ভাবে কেউ এখনো জায়গা করে নিতে পারেনি। কোথায় কে প্রার্থী হবেন, কে দলের সভাপতি হবেন, তার শেষ সিদ্ধান্ত নেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি একুশে জুলাই কিভাবে পালন হবে, তা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কারা টিকিট পাবেন, তা জানিয়ে দেন শাসক দলের সুপ্রিমো। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলে দেন যে, 2016 সালে যারা বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই 2021 সালে দলের টিকিট পাবেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথার পরই তৃণমূলের অন্দরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই আশা করেছিলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা বিধায়করা নানাভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় এবার হয়ত প্রার্থী পদে ব্যাপক পরিবর্তন হবে। কিন্তু সেই রাস্তায় না হেটে দল যাতে ভেঙে না যায়, তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত বিধায়কদের টিকিট দেওয়ার কথা বলে তাদের দলেই রাখতে চাইলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তবে সমালোচকদের অনেকে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল। তিনি এখন যা বলবেন আধাঘন্টা পরে তার পরিবর্তন হবে না, তা কেউ জানে না। তাই এবার প্রার্থী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করলেও, সেই বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। একসময় তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দীর্ঘদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসাথে ঘর করে এসেছেন তিনি। তবে দলের সুজিত বসুর সঙ্গে তার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে যাওয়া সব্যসাচীবাবু কিছুদিন আগেই যোগ দেন বিরোধী শিবির ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর বর্তমানে যখন তৃণমূলের টিকিট দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বর্তমান সমস্ত বিধায়কদের প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করলেন, ঠিক তখনই সব্যসাচী বাবু তৃণমূলের অন্দরে অবিশ্বাসের বার্তা পৌঁছে দিতেই এই ধরনের মন্তব্য করে ঘাসফুল শিবিরকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, “এসব আসলে টুপি পড়ানোর কৌশল। এখন হাত তুলতে বলা হচ্ছে। ভোটের আগে অনেকেই দেখবেন, টিকিট ভোকাট্টা হয়ে গিয়েছে।” আর সব্যসাচী বাবুর এই মন্তব্যে এখন তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিরোধী নেতা হলেও সব্যসাচীবাবুর এই বক্তব্য কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কেননা এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখন কোন কড়া সিদ্ধান্ত নেবেন, তা কেউ জানে না। তাই বর্তমানে দলের বিধায়করা যাতে বিরোধী দলে পা না বাড়ান, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কৌশল প্রয়োগ করলেও, বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজার পর প্রার্থী পদে তিনি সমস্ত বিধায়ককে আদৌ প্রার্থী করবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েও অনেকে পরাজিত হয়েছেন। আবার অনেকে টিকিট পাননি। ফলে তারা এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর অনেকেই হতাশ হয়ে গিয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে যখন সেই প্রার্থী পদের ঘোষণা নিয়ে জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই সব্যসাচী দত্তের এই মন্তব্য গোটা ঘটনাকে বাড়তি মাত্রা দিল বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। আপনার মতামত জানান -